
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির পর প্রায় ১ হাজার ২০০ জন কয়েদি কারাগার থেকে পালিয়েছেন। সোমবার দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামিতে তিনটি কারাগার বিধ্বস্ত হয়। সেই কারাগারগুলো থেকে ১২০০ কয়েদি পালিয়েছেন।
ওই তিনটি কারাগারের মধ্যে দুটি পালু শহরে অবস্থিত। অপরটি সেন্ট্রাল সুলাওয়েসি প্রদেশের ডংগালা কারাগার। বিপর্যয়ের পর কারাগারে নিরাপত্তা দেয়াল বিধ্বস্ত হওয়ায় তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। কেউ কেউ বিধ্বস্ত কারাগারের দেয়াল টপকে ও প্রধান কারা ফটক ভেঙে পালিয়ে যান।
কয়েদিদের বেশির ভাগ দুর্নীতি ও মাদক অপরাধের দায়ে সাজা ভোগ করছিলেন। ভূমিকম্পের কয়েক দিন আগে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত পাঁচজনকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। পালুর ওই দুই কারাগারে এখনো ১০০ জন কারাবন্দী রয়েছেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছেন কারারক্ষীরা।
প্রসঙ্গত, পালু শহরে ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে মৃত মানুষের সংখ্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ৮৪৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত আগস্টে ইন্দোনেশিয়ার লমবক দ্বীপে সিরিজ ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে ৫ আগস্টের ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। ভূমিকম্প প্রবণ দেশটিতে ২০০৪ সালে ভূমিকম্পের পর ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানে। এতে লাখো মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply