
জয়দেব (বান্দবান্দরবান) আলীকদম প্রতিনিধি: আলীকদমের সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও নয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত করায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে আলীকদম সদর ইউনিয়ন ও নয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় আলীকদম বাজার প্রদক্ষিণ করে।পরে আলীকদম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। মিছিল ও মানববন্ধন শেষে আলীকদম সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ কফিল উদ্দিন বলেন,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে অবৈধ ভাবে কোন রেজুলেশন বা মিটিং ব্যাতিত ফেইজবুকের মাধ্যমে কমিটি ভেঙ্গে দেয়,যা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরুদ্ধী।এমন আচরণে আমরা খুব লজ্জিত ও মর্মাহত।আলীকদম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে জমি দখন, রিভার্জ থেকে গাছ চুরি নানা অপকর্মের লিপ্ত যা স্থানীয়রা সবাই অবগত।আমরা সক্রিয় থাকার পর ও
নিস্ক্রিয়,আর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল এক সাথে দুইটিবএনজিওর চাকরী ও মাঝে মাঝে বিভিন্ন শুমারীও করেন। দুই টি চাকরী ও শুমারী করে কেউ সক্রিয় থাকতে পারে আমার জানা নেই। তিনি আরও বলেন, আগামী উপজেলা ছাত্রলীগে সৌরভ পাল ডালিমের মনোনীত ব্যক্তিদের আনতে আমাদের সরিয়ে দিচ্ছেন। আমরা বিগত নির্বাচনগুলো দলীয় প্রার্থীর জন্য কঠোর শ্রম দিয়েছি তার মূল্য উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে দিল।আমরা এমন কাজে সঠিক বিচার চাই,আমাদের অভিভাবকের নিকট। ৩ নং নয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সুইলামং মার্মা বলেন,আমাদের কমিটি গতিশীল করার জন্য নাকি বিলুপ্ত করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।কিন্তু উনারা কি সক্রিয়? কয় জন আছে রাজপথে?আমরা না আসলে, তারা তো কোনকিছু করতে পারে না।উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটাতে বারংবার আমাদের কমিটি নিয়ে।এর
আগের নয়াপাড়ার ইউনিয়ন কমিটিও টাকা ধার নিয়ে না দিলে, প্রতিবাদ করায় সে কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তখনও অজুহাত হিসেবে সংগঠন গতিশীল করার , আসলে কি গতিশীল করার জন্য নাকি আপনাদের স্বার্থের জন্য করেন।আমাদের ডাকলে আমরা নিজেরা সম্মেলনের মাধ্যমে অব্যহতি নিতাম। ফেইসবুকে ভাঙ্গার প্রয়োজন ছিল না।আপনারা কর্মী তৈরী চেয়ে কর্মী নিধনে সক্রিয় বেশী। এ বিষয়ে আলীকদম উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল বলেন, আমাদের উপরের নির্দেশ ছিল তাই বিলুপ্ত করেছি।কে নির্দেশ দিয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।নির্দেশ দেওয়ার পর তাদের সাথে বসছিল কিনা বা বিলুপ্তির সময় উক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল কিনা জানতে চাইলে উত্তরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো সোহেল বলেন,উপজেলা আওয়ামিলীগের নির্দেশনা পেয়েছি,তাই বিলুপ্ত
করেছি।তাছাড়া কিছু কমিটি অটো বিলুপ্ত করা যায়। তার জন্য কাউকে জানার বা ডাকার প্রয়োজন নেই। আলীকদম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ নেতাকর্মী নিস্ক্রিয়, বিবাহিত ও ভূমি দখলসহ নানা অনিয়মে জড়িত এমন এমন অভিযোগের উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃসোহেল বলেন, উপজেলা নেতারা কি করবে তা ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের বলার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া উপজেলার বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সিদ্ধান্ত নেবে।উপজেলার এখতিয়ার আছে তাই কমিটি বিলুপ্ত করেছে।
এবিষয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউসার সোহাগ ফোনে জানান,নিস্ক্রিয় থাকায় দুইটি কমিটি বিলুপ্তির করবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু বিলুপ্তির সময় উক্ত কমিটির অধিকাংশ নেতাকর্মী উপস্থিত থাকতে হবে ও তাদের অবগত করতে হবে। তিনি আরও জানান, যদি কমিটি বিলুপ্তি করার সময় গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে এবং কেউ অভিযোগ করলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এখন পর্যন্ত কারও মৌখিক বা লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া নি বলে জানান। এদিকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্তির বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগকে কোন লিখিত পত্র দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়িমং মার্মা পরে জানাবেন বলে কল কেটে দেন এবং পরে দুইবার চেষ্টা করেও কল রিসিভ করে নি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply