
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ উভয় দলের সমাবেশ করার কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল এবং বিএনপি রাজধানীতে পৃথক সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
ওই দিন বিকাল ৩টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে ১৪ দলের সমাবেশ। অন্যদিকে অনুমতি না পেলেও ওই দিন দুপুর ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অথবা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করবে বিএনপি। হঠাত্ করেই দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের এমন মুখোমুখী অবস্থানের কারণে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে জনমনে।
প্রসঙ্গত, প্রথমে বিএনপি যে ঘোষণা দিয়েছিল সে অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার তাদের সমাবেশ করার কথা। কিন্তু পরে তারা সিদ্ধান্ত পাল্টে শনিবার জনসভা করার ঘোষণা দেয়। বিএনপির ঘোষণার আগেই ১৪ দলের পক্ষ থেকে শনিবারের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ বাস্তুহারা লীগ আয়োজিত বিশ তলা ভবনে বস্তিবাসিদের বাসস্থান প্রকল্প গ্রহণে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর সমাবেশ কর্মসূচি সফল করতে ১৪ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে মিছিল নিয়ে দুপুর ২টার মধ্যে মহানগর নাট্যমঞ্চে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শনিবার ১৪ দলের শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল সমাবেশ হবে। আর বিএনপির সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কর্মসূচি ছিল ২৭ সেপ্টেম্বরের। তারা কারো সঙ্গে কোন কথা না বলেই তাদের কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করেছে। তারা পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে। সংঘাত সৃষ্টির জন্যই বিএনপি তাদের সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করেছে যা দুঃখজনক। এটা তাদের দুষ্ট অভিসন্ধি। আসলে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তবে আমরাও প্রস্তুত আছি। কেউ ১৪ দলের সমাবেশ কর্মসূচিতে বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।“
গতকাল রাজবাড়ি ও পাংশায় পৃথক দুটি কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি যে সমাবেশ করতে চাচ্ছে তা তারা করতে পারে। আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা সমাবেশ করবে না। পাল্টা কর্মসূচি দেয় তারা, যারা ভয় পায়। আমরা ভয় পাই না। তিনি বলেন, মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। বিএনপি মানে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা রাজপথে থাকবেন। কাউকে রাজপথ দখল করে সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। অফিস-আদালতের সামনে, রাস্তা বন্ধ করে কোনো সভা সমাবেশ চলবে না। আওয়ামী লীগও এভাবে সমাবেশ করবে না। আপনাদেরও করতে দেবো না।’ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘সড়ক অবরোধ করবেন না। শুধু সতর্ক অবস্থানে থাকবেন। আপনারা আগে কাউকে আক্রমণ করবেন না। কিন্তু যদি আপনাদের আক্রমণ করে, তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
এদিকে অনুমতি না পেলেও রাজধানীতে শনিবার বিএনপি সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বরের জনসভায় আমরা দলের নীতি নির্ধারনী বক্তব্য দেবো। ভবিষ্যত্ কর্মপন্থা ও কর্মসূচি তুলে ধরবো। আন্দোলন-নির্বাচনের সার্বিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply