
গত ৩ এপ্রিল দুই বাসচালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো শিকার হন রাজীব। দুই বাসের চাপে হাত কাটা পড়ে রাজীবের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হাসান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার তথ্য হাইকোর্টকে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
ঘটনায় রাজীব হাসানের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ক্ষতিপূরণ বিষয়ে এ আদেশ দেন।
স্বজন পরিবহনের গাড়ির মালিক এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিসি) সমানভাবে ভাগ করে এই টাকা দিতে হবে। আগামী ২৫ জুনের মধ্যে রাজীবের খালা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ছেলে শুল্ক কর্মকর্তা ওমর ফারুকের যৌথ অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়। বাকি টাকা কবে দিতে হবে, তার জন্য ২৫ জুন আদেশ দেবেন আদালত। ওই দিন বিআরটিসি কর্তৃপক্ষককে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর আগে গতকাল রাজীবের খালা ও দুই ভাইকে আদালতে আসতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী সকালেই তাঁরা হাইকোর্টে হাজির হন। হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন।
রাজীবের চিকিৎসার খরচ স্বজন পরিবহন মালিক এবং বিআরটিসিকে বহনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আইন সংশোধন বা নতুন করে বিধিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। এ রুল এখন বিচারাধীন। কিন্তু রাজীব ১৬ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে মারা যান। ৬ মে এই তথ্য আদালতকে জানান আইনজীবী। সড়ক পরিবহনে দূরঘটনা চরম মাত্রায় পৌছেছে।
শুধু আইন কিংবা ক্ষতিপূরণ নয়, বাড়াতে হবে জনসচেতনতা। তবেই হয়তো এমন অনাকাঙ্ক্ষিত জীবননাশ থেকে মুক্তি মিলবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply