
রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত হোটেল সারিনা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এটি। খসরুর অবৈধ সম্পদের খোঁজে এই হোটেলে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত এই অভিজাত হোটেলে দুদকের একটি টিম অভিযান চালায়। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে এই অভিযান শেষ হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আমরা উনার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হোটেল সারিনায় অভিযান চালিয়েছি বলে জানান দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গত ১৬ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হতে নোটিশ দেয়া হয়।
বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনসহ মানি লন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ। এছাড়াও তার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যসহ নিজ নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে দুদকের নোটিশে জানানো হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর দুদকের এই নোটিশের পর এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। হাইকোর্টে সেই রিট খারিজ হয়ে যায়।
সর্বশেষ ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকে তার আসা কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পেছানোর জন্য আবেদন করেন তিনি।
বাংলাদেশের রাজনীতির নেতাদের ক্ষমতায় থাকাকালীন অর্থ সম্পদে ফুলে ফেঁপে ওঠার ব্যাপারটি নতুন কিছু নয়। তবু এসব ক্ষেত্রে শাস্তি কিংবা আইনের মানদন্ডে সাজা পাবার ব্যাপারটি বড় বেশি দেখা যায় না। জনগনের কাছ থেকে নেয়া অর্থে রাজনৈতিক নেতাদের ভোগ বিলাসের সাজা হওয়া প্রয়োজন। নাহলে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply