জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কে দেওয়া হাইকোর্টের চার মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে আপিল স্থগিতের আবেদনকারীদের লিভ টু আপিল করার জন্য বলা হয়েছে।
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আজ দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খানের শুনানি উপস্থাপনের পর ই আদালত এই সিদ্ধান্ত দেন। আদালত বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কোন বক্তব্য না শুনেই তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। গত সোমবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়া কে ৪ মাসের জামিন দেওয়া পর দিন মঙ্গলবার সকালে প্রথমে দুদক,পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে জামিন স্থগিত চেয়ে আলাদা দুইটি আবেদন করে। মঙ্গলবার দুপুরে তা চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দকী আবেদন দুইটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকায় ‘দুর্নীতি দমন কমিশন বনাম খালেদা জিয়া’ এবং ‘রাষ্ট্র বনাম খালেদা জিয়া’ শিরোনামে আবেদন দুটি যথাক্রমে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকে ছিল। আজ শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আদেশ দেন।
বিএনপির নেতারা বলে আসছেন, সরকার খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে নানা কৌশলে দীর্ঘসূত্রতা করছে। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) মাদার অব ডেমোক্রেসি। তাঁকে ছলচাতুরী করে সরকার আটকে রাখার চেষ্টা করছে।’
খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করার পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করে। তারা এই আদেশ কে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন বলে অভিহিত করছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ছয় আসামির সবাইকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। রায়ের পর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply