
গত বুধবার গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি হয়। তাতক্ষনিক ভাবে জানা যায়, এলাকার কিছু যুবক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথমে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বাক বিতন্ডায় জড়ায়। পরে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে।
এরই জের ধরে সেদিন দিবাগত রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, এবং কয়েকটি দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৬ জুলাই) বিকেলে পুলিশ ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ২টি মামলা দায়ের করা হয়।
সংঘটিত সংঘর্ষ ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ৬’ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর নামে এই ২টি মামলা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুলাই) রাতে ও বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) দিনভর গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থী ও গোবরা গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, মোটরসাইকেলে আগুন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ দুই দিনের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী, পুলিশ ও গ্রামবাসী আহত হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী ও গোবরা গ্রামবাসীর মধ্যে দুই দিন ধরে সংঘর্ষ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশকে আহত করার অভিযোগে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুশান্ত কুমার খান ৭শ’ থেকে ৮শ’ উশৃঙ্খল গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মার্কেটে ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মার্কেট মালিক সাজেদা বেগম ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৭/৮শ’ শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
ছোটখাট বিষয়ে বিবাদের সূচনা হলেও এটি পরে ভয়ংকর রূপ নেয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আশা করা যায় না। এক্ষেত্রে দু পক্ষকেই একটু সহনশীলতার পরিচয় দেয়া উচিৎ ছিলো।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply