
গাইবান্ধা-৪ গোবিন্দগঞ্জ আসন থেকে গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে প্রায় চল্লিশ হাজার ভোটের ব্যাবধানে নিকটতম প্রার্থীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হয় অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
এমপি নির্বাচিত হবার পর থেকে গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শান্তি শৃঙ্খল বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া এর আগে এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ইউনিয়ন,পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদসহ যথাক্রমে স্থানীয় সরকারের প্রায় সকল সেক্টরেই জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন।এমপি আজাদের প্রায় পঁচিশ বছরের জনপ্রতিনিধিত্বে থাকায় গোবিন্দগঞ্জের উপজেলায় সর্বস্তরের মানুষের সাথে একটা গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তার একের পর একেক সেক্টরে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করায় তাকে যে এবার জনপ্রতিনিধিত্বের বাহিরে দেখতে হবে এমনটা কখনো ভাবেনি তার কর্মিসমর্থক।এমপি আজাদও এমনটা ভাবেনি তাই তিনি কথা দিয়েছিলেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে গোবিন্দগঞ্জে ফিরবেন কিন্ত দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি হেরে যান তাকে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি তাই আজ ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর পর তিনি খালি হাতে গোবিন্দগঞ্জ ফেরে আসলে বুকের ভিতর থাকা জনতার জন্য ও দলের জন্য অফুরান্ত ভালোবাসা নিয়ে এসেছেন গোবিন্দগঞ্জবাসীর প্রাণ প্রিয় নেতা অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি। দেশ বিদেশ ও দলের প্রিয়নেত্রীর সিদ্ধান্তে দলের স্বার্থে তিনি প্রতিদ্বন্দিতা করা হতে সরে দাড়িয়েছেন। জীবনের বাকিটা সময় তিনি নিজের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ে সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কাজ করার অঙ্গিকার করেন।
অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি আজ গোবিন্দগঞ্জ যখন পদর্পণ করেন তখন তাকে দেখে তার কর্মী সমর্থকগণ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। গাড়ী থেকে নামতেই ডুকরে ডুকরে কাঁদেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক।এসময় চারিদিক থেকে কান্নাজড়িত কন্ঠে স্লোগান আসে হেরে গেছে সততা হারেনি কালাম ভাই।
এরপর এমপি আজাদ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চত্তরে এসে জনসাধারণ ও দলীয় নেতা কর্মীসমর্থদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন। গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জবাসীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করে বলেন আমি প্রতিনিধি হিসেবে পাশে থাকতে না পারলেও ভাই অথবা দলীয় কর্মি হিসেবে পাশে থাকব।তিনি বলেন আজ আমি দলীয় মনোনয়ন পাইনি তবে গোবিন্দগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি আমি যে গোবিন্দগঞ্জবাসীর অন্তরে ঢুকতে পেরেছি এটাই আমার সফলতা। এরপর তিনি আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর পক্ষে কাজ করে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনতাকে আহব্বান জানান।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply