
পীরগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বুধবার রাতে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে লাঠি ও ইট দিয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রীর (২৫) মাথা থেঁতলে দিয়েছে চার বখাটে।
মেয়েটি বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্রী। ঈদের ছুটিতে কয়েক দিন আগে বাড়িতে আসেন। তাঁরা দুই ভাইবোন। তাঁদের মা-বাবা মারা গেছেন। নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে চার বখাটে যুবক দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে তরুণীটির মুখ ও হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাঁর মুখের বাঁধন খুলে যায়।
এ সময় মেয়েটির চিৎকারে তাঁর ছোট ভাই ও আশপাশের লোকজন জেগে উঠলে বখাটেরা ইট ও লাঠি দিয়ে মেয়েটির মাথা থেঁতলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই তাঁকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে ওই ছাত্রী বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুম রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়েটিকে দেখতে গিয়েছি। থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক খাদিজা খাতুন বলেন, মেয়েটির মাথায় ইট ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর পুরো মাথায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। মুখে আঁচড়ের দাগও আছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
এ ধরনের কর্মকাণ্ড নীতি ও নৈতিকতা বিবর্জিত। অনেককে ধরা হচ্ছে, তবু যেন এসব থামছেই না। বেপরোয়া হয়ে উঠছে এসব বখাটেরা।
এদেরকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তবে হয়তো এ অবস্থা থেকে পরিত্রান মিলতে পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply