
ঘটোনাটি ঘটেছে কুমিল্লায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যশপুর বাজারসহ বিভিন্নস্থানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি যশপুর বাজারে চুরির ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে পলাতক ছিলেন বাদশা।
সোমবার রাতে স্থানীয়রা বাদশাকে দেখে ফেলে। আর এ সময় তাকে গণপিটুনি দিয়ে ডান হাত কেটে ফেলা হয়। মঙ্গলবার সকালে তার ডান হাতটি পাশ্ববর্তী খেয়াইশ গ্রামের একটি বিলে পাওয়া যায়।
জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের যশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাদশা ওই গ্রামের মৃত মোহন মিয়ার ছেলে।
মর্মান্তিক এই ঘটনার বিষয়টি জানতে পারার পরও পুলিশ তৎপর হচ্ছে না। বিষয়টি জানতে পারার কথা জেনেও কারা হাত কেটেছেন, সেটি বের করতে তাদের কোনো চেষ্টা চোখে পড়েনি।
যুবকের বিচ্ছিন্ন হওয়া হাত ও তার ছবিটি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহজালাল মজুমদার বলেন, ‘হাত কর্তন করা যুবক এলাকার চিহ্নিত চোর ও মাদক কারবারি। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। প্রায় সময় পথচারীদের গতিরোধ করে সে মালামাল লুট করত। সোমবার রাতে সে যশপুরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধর করে একটি হাত কেটে দেয়।’
তবে একজন মানুষের হাত কেটে ফেলার মতো শাস্তি দেয়া যায় কি না- এমন প্রশ্নও উঠেছে এলাকায়। এ নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। যদিও পুলিশ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই এখনও নেয়নি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘হাত কাটার একটা ঘটনা শুনেছি। বিস্তারিত জানি না। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব’।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply