সম্প্রতি রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী প্ররোচনায় পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এই নির্মম ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অধ্যক্ষের বরখাস্তসহ ছয়টি দাবি মেনে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা।
অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর বেলা পৌনে দুইটার দিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে আনুশকা রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শুনেছি, আমাদের কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের অধ্যক্ষ বা মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এ –সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চাই। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলতে থাকব।’
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসকে বরখাস্ত এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার কারণে ৩০৫ ধারায় শাস্তি; কোনো শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হবে না—এমন নিশ্চয়তা দেওয়া; কথায় কথায় শিক্ষার্থীদের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দেওয়া ও দেওয়ার হুমকি না দেওয়া; শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতার জন্য প্রত্যেক ক্লাসে মনোবিদের ব্যবস্থা রাখা; গভর্নিং বডির প্রত্যেক সদস্যের পদত্যাগ এবং আন্দোলনকারী কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া।
গতকালের মতো আজও সকাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেইলি রোডের শাখার প্রধান ফটকে বিক্ষোভ শুরু করে কয়েক শ শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অনেক অভিভাবক।
অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শাখাপ্রধান এবং এক শ্রেণিশিক্ষককে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা তদন্ত কমিটি। এ জন্য ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিটি।
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ওই তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করতে পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের কমিটি। এই তিন শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে।
এই তিন শিক্ষক হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply