
জামায়াত ছাড়ার জন্য বিএনপিকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা কামরুল হাসান নাসিম। বলেছেন, এই দাবি মানা না হলে আগামী রবিবার থেকে ঐক্যফ্রন্ট ও জামায়াতের মনোনীত আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম তুলবেন বিএনপি পুনর্গঠনের সদস্যরা।
শুক্রবার রাজধানীর কারওরান বাজারের একটি হোটেলে মিট দ্য প্রেসে কামরুল হাসান নাসিম এই ঘোষণা দেন।
কামরুল হাসান বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে বলছি, মনোনয়ন চূড়ান্তের ক্ষেত্রে তারেক রহমানের আদেশ মানা যাবে না। আর জামায়াতকে ছাড়ার ঘোষণা দিতে হবে। একই সাথে বিদেশি শক্তির এজেন্টদের ছেড়ে দিতে হবে; কেননা তারা নিজেরাই অগণতান্ত্রিক। এই তিনটি পরামর্শ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেনে নিন। না মানলে রবিবার থেকে ঐক্যফ্রন্ট ও জামায়াতের মনোনীত আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম তুলবেন বিএনপি পুনর্গঠনের সদস্যরা, যারা বিএনপির সিনিয়র নেতা।’
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ‘অশুভ’ দাবি করে আসল বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারা কিছুই না। ড. ইউনূসের চাকর হিসেবে ড. কামাল হোসেন কাজ করছেন। আর তারেক রহমানের চাকর হিসেবে কাজ করছেন মির্জা ফখরুল। এটা একটা অশুভ পথচলা। এই ঐক্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করছি।’
কামরুল বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। কারণ তিনি জানেন দেশের জনগণ সামাজিকভাবে শিক্ষিত না। মিডিয়ার সামনে আসছেন আর বলছেন দেশের মালিক জনগণ, জনগণই মালিক। এসব কথা বলে তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন। বিএনপি বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল। কারণ তারা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অপশক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত বা তাদের এজেন্ট। ফখরুল ইসলাম বিদেশ যান-ভারত গিয়ে ধর্ণা দেন, আইএসআইয়ের কাছে যান, আমেরিকায় যান।’
জনস্বার্থে বিএনপি রাজনীতি করছে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘সরকার মাথা পিছু আয় নিয়ে সব সময় ক্যাম্পেইন করছে। কিন্তু বিএনপি কী করছে? বিএনপি জনস্বার্থটাকে দেখাচ্ছে ভোট স্বার্থ। তারা বলছে (বিএনপি) এটাই নাকি জনগণের চাওয়া, কিন্তু এটা ভুল। বিএনপি’র এখনও রাজনৈতিক হাতিয়ার নাশকতা। কয়েক দিন আগে পাঁচ মিনিটের মধ্যে নয়াপল্টনের চেহারা পাল্টে দিয়েছিল দলটি। নির্বাচনের দিন এভাবেই সহিংসতা করবে তারা। তাছাড়া বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা করার মতো অবস্থায় নেই।’
শেখ হাসিনা মন্দের ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশপ্রেমিক। মোটামুটি দেশপ্রেম থাকার কারণে তিনি দেশকে দশ বছর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিএনপিতে শেখ হাসিনার মতো দেশপ্রেমিক লোক না থাকার কারণে তিনি আবারও ক্ষমতায় চলে আসবেন বলে মনে হচ্ছে। কারণ দেশের জনগণ নেতিবাচক শিক্ষায় শিক্ষিত। বাংলাদেশ গরিব দেশ না। দেশকে গরিব করে রাখা হয়েছিল। শেখ হাসিনার মতো আরও দশজন শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা দশ অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে যাবে।’
নাসিম বলেন, ‘তারেক রহমানের মুখে সে দিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা শুনলাম কিন্তু সেটা যদি তিনি বিশ্বাসই করতেন তাহলে সর্বপ্রথম জামায়াতকে ছাড়তেন। তিনি সেটা ছাড়ছেন না কেন?’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply