
জয়ের জন্মদিন আজ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই, আজকের এই দিনে ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির প্রথম সন্তান জন্ম নেয়। স্বাধীনতাযুদ্ধে জয়ের পর বঙ্গবন্ধু তার এই নাতির নাম রাখেন ‘জয়’।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৪৮তম জন্মদিন পালিত হল আজ।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সজীব ওয়াজেদ জয় মায়ের সঙ্গে জার্মানি হয়ে ভারতে যান। তার শৈশব-কৈশোর কাটে ভারতে। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসেছিলেন তিনি। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন জয়। এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জয় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন। গত সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন ও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফরের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও বেশ ভালো প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন। যদি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে দায়িত্বশীল পদপ্রাপ্তি নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু কোন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদেই আসীন হতে অনীহা প্রকাশ করেন তিনি।
২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দেশ গঠনে তরুণদের মতামত, পরামর্শ শুনতে তিনি ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দুটি গ্রোগ্রাম ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এ ছাড়া তিনি তরুণ উদ্যোক্তা ও তরুণ নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে তরুণদের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা করেন।
এমন মেধাবী তরুনদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসা দরকার। ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে হলে এমন সকল মেধাবী মানুষগুলোকেই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসীন হতে হবে। তবেই কেবলমাত্র এই প্রতিযোগিতার বিশ্বে বাংলাদেশ টিকে থাকতে পারবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply