
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেএসসি’র ব্যাবহারিক
পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র আটকে রেখে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে অভিযুক্ত শিক্ষক অর্ধেক টাকা ফেরত দিলেও ওই দিনের নির্ধারিত পরীক্ষা গ্রহন করতে অস্বীকার করায় বিপাকে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের মাহিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হুমায়ুন কবির চলতি জেএসসি ব্যাবহারিক পরীক্ষায় ৫৭জন পরীক্ষার্থীর নিকট ২শত টাকা ঘুষ
আদায় করে। যে সকল পরীক্ষার্থী টাকা দিতে অস্বীকার করে তাদের প্রবেশ পত্র আটকে রাখে ও ব্যাবহারিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে ওই শিক্ষকের হাতে ঘুষ বাবদ ২শত টাকা তুলে দেয়। পরীক্ষার্থী জেমি আকতারের পিতা
জামিরুল ইসলাম, শিমা আকতারের পিতা শফিকুল ইসলাম প্রতিবেদকে জানান, আমরা জানি ব্যাবহারিক পরীক্ষার জন্য আলাদা কোন ফি দিতে হয় না। কিন্তু শিক্ষক হুমায়ুন আমাদের সন্তানদের প্রবেশ পত্র আটকে রেখে জোর পূর্বক ২শত টাকা আদায় করে। তুহিন ইসলামের পিতা মাহফুজ আলম, রাশেদ ইসলামের পিতা রফিকুল ইসলাম জানান,
আমাদের সন্তানদের ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক ২শত টাকা আদায়
করে সহকারী শিক্ষক হুমায়ুন। আমরা এর বিচার চাই। এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক
হুমায়ুন কবির ২শত টাকা ঘুষ আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ১শত টাকা ফেরত দিয়েছি। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কহিনুর ইসলাম বলেন, আমি অফিসের কাজে দিনাজপুর বোর্ডে এসেছি। টাকা নেয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তিনি আরো জানান, এভাবে টাকা তোলার কোন নিয়ম নাই। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার
শাকেরিনা বেগম বলেন, আমি ওই স্কুলের অনেক অনিয়মের বিষয়ে, ডিও স্যার ও
ইউএনও স্যারকে লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছি কিন্তু তাতে কোন ফলা ফল পাওয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ফাতিমা বলেন, আমি কোঠর ধরণের ব্যবস্থা নিব ।
এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে জানান, আমাদের সন্তানেরা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত না খেয়ে স্কুলের মাঠে পরীক্ষা
দেয়ার জন্য বসে থাকলেও কাক্সিক্ষত ঘুষ না পাওয়ায় ওই শিক্ষক পরীক্ষা নেয়নি।
আমরা বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবী করছি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply