
মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন করা হয় জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
এরশাদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রচারের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াই জাতীয় পার্টির ‘মূল লক্ষ্য’।
একাদশ নির্বাচনী প্রচারে নেমে এর আগেও তিনি বলেছিলেন, এবার তরুণ ভোটারদের দিকে ‘বিশেষ নজর’ রাখছে তার দল।
দেশের ১৬ কোটির বেশি জনসংখ্যার মধ্যে ১০ কোটি ৪০ লাখ ভোটার; এর এক-তৃতীয়াংশ বা তিন কোটি ভোটারই যুবক।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা শফিউল্লাহ আল মুনীর বলেন, “ডিজিটাল কার্যক্রমে সামাজিক মাধ্যমে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে তাতে বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বার্তা দেশব্যাপী প্রচার করবে জাতীয় পার্টি।”
এছাড়াও কোয়েরি মেসেজ, ফেইসবুক মেসেঞ্জারে স্বয়ংক্রিয় বার্তা প্রদান, বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণেও বিজ্ঞাপন প্রচারের পরিকল্পনা তুলে ধরে দলটি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ওয়েবসাইটের উদ্বোধনও করা হয়।
এরশাদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের প্রতিটিতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
“এবারের নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে বেআইনিভাবে সিল মারতে দেব না,” বলেন তিনি।
নিজের ছয় বছরের হাজতবাসের কথা স্মরণ করে এরশাদ বলেন, “আমার জীবনে এক দিনের শান্তি ছিল না, একদিনের সুখ ছিল না। এখনও মামলা ঝুলে আছে।
“২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন বিএনপি ৫৮৮৮ টি মামলা তুলে নিয়েছিল, ৭৫ হাজার আসামি মুক্তি পেয়েছিল। তারপরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তারা ছয় হাজার মামলা তুলে নিয়েছে।”
আক্ষেপের সুরে এরশাদ বলেন, “কিন্তু আমার কেস একটাও উইথড্র হয় নাই। সমস্ত মামলা ঝুলে আছে। তার কারণ আমাকে বিশ্বাস করে না, জাতীয় পার্টির শক্তিকে তারা ভয় পায়। ”
জাতীয় পার্টি আসন্ন নির্বাচনকে নিয়ে বেশ আঁটসাঁট হয়েই মাঠে নেমেছে। এবার নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply