মাশরাফি এখন শুধু খেলোয়াড় নন, রাজনীতিকও। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নড়াইল-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। জিতলে জনপ্রতিনিধি হবেন। অধিনায়কের এই রাজনীতিতে জড়ানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবশ্য ‘ইতি’-‘নেতি’ দুই ধরনের আলোচনাই হচ্ছে। সেলফি তুলতে আসা এক ভক্ত সেটিও মনে করিয়ে দিলেন মাশরাফিকে, ‘ভাই ফেসবুকে এত বাজে মন্তব্য কীভাবে করতে পারে মানুষ?’ অধিনায়ক মুচকি হাসিতে বলেন, ‘ফেসবুক না দেখলেই তো হয়!’
রাজনীতি-নির্বাচন, নতুন এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে মাশরাফিকে। রাজনীতির পৃথিবীতে পা রাখার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যে বেশ কড়া, সেটি তাঁর চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। চাপের মধ্যে কতই তো খেলেন, ক্যারিয়ারে কত চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে, তবুও চোখেমুখে এত উদ্বেগ, এত চিন্তা আগে দেখা যায়নি। রোমাঞ্চপ্রিয় মাশরাফি নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, সেটিতে উতরে যেতে পারবেন কিনা, সময়ই বলে দেবে। তবে দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে একতরফা ভালোবাসা পেয়ে আসা ‘ম্যাশ’ যখন দেখেন সেই ভালোবাসায় কিছুটা বিভক্তি দেখা দিয়েছে, একটু ধাক্কা তো লাগবেই।
মাশরাফি মনে করেন, তাঁর কাছে এখনো ক্রিকেটীয় সত্তাটাই বড়। নির্বাচনী প্রচারণার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলা না খেলা নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, সেটি কেটে গেছে। মাশরাফি প্রস্তুত হচ্ছেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। দুদিন ধরে ফিটনেস ট্রেনিং করছেন। বিকেলে বাসায় ফেরার আগে বললেন, ‘স্ট্রেংথ বাড়ানোর কাজটা চলছে। দু-এক দিনের মধ্যে বোলিং শুরু করব।’
নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততা থাকলেও ক্রিকেটে এর কোনোই প্রভাব পড়তে দিতে চান না এই অধিনায়ক। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যিনি, তাঁর প্রতি দেশের মানুষ একটু সদয় হয়ে গালি-গালাজ করা বন্ধ করলে হয়তো তিনি আরও ভাল খেলা উপহার দিতে পারবেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply