
কামরান আহমেদ রাজীব কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃদেশের ২৫ জেলার ১১৭ উপজেলার সাথে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরেও তৃতীয় ধাপের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এখানকার দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ দুই বনেদি রাজনৈতিক পরিবারের ভোটের লড়াই। দৌলতপুর সরকারি হাইস্কুল কেন্দ্র, মানিকদিয়াড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, তারাগুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, তারাগুনিয়া হাইস্কুল কেন্দ্র, আল্লারদর্গা হাইস্কুল কেন্দ্র, পিপুলবাড়িয়া বিদ্যালয় কেন্দ্র, দীঘলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, রিফায়েতপুর হাইস্কুল কেন্দ্রসহ আরো কয়কেটি কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোটারদের উপস্থিতি কমের খবর পাওয়া গেছে। তবে কেন্দ্রগুলোতে দুই ঘণ্টাতেও ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়লে উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে দাড়েরপাড়া বিদ্যালয় কেন্দ্রটি সকাল সাড়ে ৮টায় পর্যন্তও ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়নি বলে সেখানে উপস্থিত এক সংবাদকর্মী জানান। আল্লারদর্গা হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোটার কম দেখে সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন। এ উপজেলার ১৪০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দৌলতপুর উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী এই ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি হচ্ছেন। নির্বাচনে আধিপত্য নিয়ে সহিংসতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

দৌলতপুর সরকারি হাইস্কুল কেন্দ্র
তবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচন সবার কাছেই অন্য রকম গুরুত্ব বহন করছে। এ নিয়ে আগ্রহেরও কমতি নাই কারো। ভোটাররাও এবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের এবং যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে পুরো উপজেলা জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বেস্টনি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন আহমেদের ছোট ছেলে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন এবং সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই, দলটির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরীর মধ্যে শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
এই দুই প্রার্থীর অভিভাবক দুজন একই দলের সংসদ সদস্য ছিলেন। এ উপজেলায় আফাজ পরিবার এবং চৌধুরী পরিবারের মধ্যে বৈরিতা নতুন নয়, দীর্ঘদিনের। এই নির্বাচনটি হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর তথা দুই পরিবারের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার কিংবা অস্তিত্ব বিলীনের নির্বাচন। চেয়ারম্যানের চেয়ার শেষ পর্যন্ত কার কব্জায় আসে তার ওপরেই নির্ভর করছে পরবর্তী অনেক কিছু।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply