
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমণ্ডির ২৭ নম্বরে অবস্থিত বিউটি পার্লার পারসোনাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক হলেন বিউটিশিয়ান কানিজ আলমাস খান।
রূপসজ্জায় নকল প্রসাধনী ব্যবহারের দায়ে জনপ্রিয় এই পার্লারটিকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
একই অপরাধে একই সময় ধানমণ্ডির ফারজানা শাকিল মেকওভার সেলুনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়ছে। অভিযান তদারকি করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী। সহযোগিতায় ছিল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। অভিযান শেষে উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, দেশের নামকরা বিউটি পার্লার পারসোনা রূপসজ্জায় নকল প্রসাধনী ব্যবহার করছে।
দেশের তৈরি নকল ও ভেজাল পণ্যকে বিদেশি পণ্য বলে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী ব্যবহার করছে যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিষ্ঠানটির ওপর মানুষের রয়েছে আস্থা ও বিশ্বাস। সেই সরলতাকে পুঁজি করেই ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করছে পারসোনা।
বাড়তি মুনাফার লোভে মানুষের স্বাস্থ্য ও ত্বক নিয়ে অবহেলা করছে। এসব অভিযোগে পারসোনা উইমেনকে আড়াই লাখ টাকা এবং পারসোনা ম্যানকে দেড় লাখ টাকাসহ মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিভিন্ন ভেজাল বিরোধী অভিযানে প্রায়ই জরিমানা করা হচ্ছে নামকরা সব শপিং মল, বিপনীবিতান এমনকি নামীদামী রেস্টুরেন্ট গুলোকেও। তবু এর থেকে যেন মুক্তি মিলছে না কোনোভাবেই।
এর জন্য শুধু জরিমানা নয়, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিৎ। সেইসাথে জনসাধারণকে বাড়াতে হবে সচেতনতা। যেন এসব দ্রব্য ব্যবহারের আগে আরো একটু সাবধান হওয়া যায়।
Leave a Reply