ঈদ এসেছে, চলেও গেছে। সড়ক জোড়াতালি দিয়ে রাখার কাজটাও এখন তাই শেষ। আবার সেই করুণ বেহাল দশা উন্মোচিত হবে সকলের সামনে।
এর স্থায়ী সমাধান কোথায়? জানে না জনসাধারন। হয়তো জানেন না প্রশাসনের গদিতে বসে থাকা হর্তা-কর্তারাও।খোদ রাজধানীতেও বহু সড়কের বেহাল দশা। খিলক্ষেত থানার অন্তরগত ডুমনী ইউনিয়নের সকল রাস্তাঘাট এর প্রমাণ।
ডুমনী ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ১৫ হাজারের উপরে। এ সকল জনগনের চলাচলের ২ টি প্রধান রাস্তা। প্রথমত পাতিরা ইছপুরা ব্রিজ হতে খিলক্ষেত বাজার দ্বিতিয় রাস্তা পাতিরা পশ্চিম পাড়া সুলতান মার্কেট হতে তলনা হাই স্কুল পর্যন্ত। এ রাস্তার মধ্যে প্রধান রাস্তাটি ইছাপুরা বাজার ব্রিজ হতে খিলক্ষেত বাজার।
এই রাস্তায় দীর্ঘ দিন ধরে গাড়ি চলাচল দুরের কথা মানুষ হাটা চলাচল করার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। জায়গায় জায়গায় গভীর গর্ত হয়ে আছে, বৃষ্টির পানি ও কাদায় ভরে থাকে পুরো রাস্তাঘাট। এ অবস্থা দেখেও না দেখার ভাণ করে থাকেন দলীয় নেতা ও ইউপি সদস্যরা। প্রশ্ন জনগনের মনে, তারা জনগনের সেবার দায়িত্বে অবহেলা কেন করেন?
ডুমনী এলাকাবাসির থেকে জানা যায়, এই রাস্তা ভাঙ্গার কারন প্রতিরাতে গড়ে উঠা কয়েকটি বালুর গদি, আর গদির গাড়ি ট্রাক,ড্রাম ট্রাক, (ট্রাক্টর) দিন রাত চলত এ রাস্তায়। এখন রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারনে বালুর গদির কোন গাড়ি চলে না এ রাস্তায়, যত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারনের।
এখন এখানে ইজি বাইক ঠিকমত চলতে পারে না, কিছু চললেও ২০ টাকা ভাড়ার জায়গায় গুনতে হয় ৫০ থেকে ৮০ টাকা। প্রায় সময় ঘটে দুর্ঘটনা। তারা জানান, চেয়ারম্যান শরিফ সাহেব থাকেন বসুন্ধধারায়। সপ্তাহে দু এক দিন আসে,দেখে না জনগনের দুঃখ দুরদশা।
দ্বিতীয় রাস্তা পাতিরা পশ্চিম পাড়া সুলতান মার্কেট হতে তলনা হাই স্কুল পর্যন্ত। এ রাস্তায় ৩ টি গ্রামের মানুষের বসবাস। গ্রাম তিনটি হলো, মস্তল, ডেলনা, তলনা। এসব এলাকার অবস্থাও ডুমনী এর চেয়ে কোন অংশেই ভালো নয়।
সরেজমিনে জানা যায়, মস্তুল গ্রামে সরকারি জমিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান A B C ও N D E রেডমিক্স কোম্পানি গড়ে উঠেছে। এলকাবাসির মতে প্রতিষ্ঠান দুটি রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি করে যাচ্ছে। অথচ প্রশাসন নিশ্চুপ। দেখা যায়, মস্তল বেলতলা হাবিজ নগর জামে মসজিদের নির্মান কাজ চলছে। মসজিদের সামনে কয়েকটি বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে।
মস্তুতু হাবিজ নগর জামে মসজিদ কমিটি মসজিদের সামনে গর্তে দু এক দিন পর পর রাবিশ ফেলেও ঠিক রাখতে পারছেনা। রাস্তায় কাদা মাটি আর পানি জমে থাকার কারনে মুসুল্লি ঠিকমতো মসজিদে আসতে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ মস্তুল বাসির।এ রাস্তায় ডেলনা, তলনা, মানুষের চলাচল তাদেরকেও চরম দুরবোগের শিকার হতে হচ্ছে।
সুত্রে জানা যায়, ডুমনী ইউনিয়ন আওয়মীলীগের সভাপতি মোমেন মিয়ার নেতৃত্বে পাতিরা গ্রামের আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের ৫০-৬০ জন নেতা কর্মী A B C ও N D E কোম্পানিকে রাস্তা মেরামতের জন্য সাশিয়ে বলেন, বালু পাথরের কাজ আমাদেরকে দিতে হবে,না দিলে সকল বালু পাথরের টলার জাহাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ডুমনী ইউনিয়ন বাসি, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য এর প্রতি আহবান জানান, যাতে বালুর গদির গাড়ি নিয়ন্ত্রিতভাবে চলে সেই ব্যবস্থা নিতে। রাজধানীর রাস্তার এই করুন দশা নতুন কিছু নয়। এটি কেবল একটি উদাহরন মাত্র। এমন আরো অনেক বেহাল দশার রাস্তা রয়েছে শহর জুড়ে।
এজন্যে প্রশাসনকেই উদ্যোগী হতে হবে। জোড়াতালি না দিয়ে নির্মাণ করতে হবে নতুন রাস্তা। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে, যেন তৈরীকৃত রাস্তা সহজেই কিছু বছর যেতে না যেতেই নষ্ট হয়ে না পড়ে। তবেই হয়তো জনসাধারন এর দুর্ভোগ কমবে। এক স্থান থেকে অন্য জায়গায় সহজেই যেতে পারবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply