
দেশে আসা নতুন মাদক ”খাট” ইয়াবার চেয়েও ক্ষতিকারক। ভেষজ এ উদ্ভিদ দীর্ঘদিন সেবন করলে নিশ্চিত মৃত্যু, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গ্রীণ টিয়ের প্যাকেটে দেশে ঢুকছে নতুন এই মাদক। খাটের ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় এ পর্যন্ত ২০ ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। দেশব্যাপী যখন মাদক বিরোধী অভিযান চলছে, ঠিক সে সময়ই আবির্ভাব হলো নতুন মাদক খাটের।
পূর্ব আফ্রিকার সোমালিয়া ও ইথিওপিয়াতে উৎপন্ন হয় ”খাট পাতা” নামের মাদক। স্থানীয়রা, এটি সেবন করে ক্লান্তি দূর করে কর্মক্ষমতা বাড়াতে। ভেষজ উদ্ভিদটি নিউ সাইকোএকটিভ সাবসটেনসেস বা এনপিএস নামে পরিচিত। অনেকে এটিকে আরব চা নামেও বলে থাকে। যা আন্তর্জাতিক সি ক্যাটাগরির মাদক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেবনকারীরা এই পাতাকে চিবিয়ে বা পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করে থাকে।
ইয়াবাসহ নানা ধরণের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে দেশে যখন মাদকবিরোধী অভিযান চলছে তখনই নতুন এ মাদক দেশে ছড়িয়ে দিতে তৎপর মাদকব্যবসায়ীরা । সম্প্রতি এর কয়েকটি চালান ধরাও পড়েছে বিমানবন্দরগুলোতে । অনেকের কাছে অজানা মাদক খাট পাতা দেশে আনা হচ্ছে গ্রীণ টির নামে ।
মাদক পাচারের রুট হিসেবে বাংলাদেশ ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তবে, যেকোন মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থার কথাও জানায় সংস্থাটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নেশা দ্রব্যের কারণে অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাড়তে থাকে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। খাটকে মাদক হিসেবে চিহ্নিত করে ২০১৭ সালে ১১০টি দেশে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply