নদী রক্ষা করে পরিবেশ নির্মল রাখতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নদী বাঁচলে পরিবেশ বাঁচবে। নদী রক্ষার মধ্য আমাদের চারপাশের পরিবেশকে নির্মল ও সুন্দর রাখতে হবে। আর সুন্দর পরিবেশ সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকার।

বৃহষ্পতিবার বেসরকারি ‘ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ’ (ইউল্যাব) এ শুরু হওয়া ৮ম এসএসইএএসআর আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০১৯ এ প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন। এ সম্মেলনের এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘নদী ও ধর্ম : দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক।’

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ভারতীয় দুতাবাসের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরও বলেন, এই সম্মেলনে গবেষকদের সম্মিলিত চিন্তার মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে যাবার পথ খুঁজে পাব। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর সব সভ্যতাই নদী তীরে গড়ে উঠেছে। নদীকে ঘিরেই মানব সভ্যতা এগিয়ে গেছে, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তিনি বাংলাদেশে আগত গবেষক ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

এর আগে ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক মিলগুলো তুলে ধরে বলন, এই সম্মেলন দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও দৃঢ় করবে। শিক্ষামন্ত্রী আমন্ত্রিক্রত অতিথিদের নিয়ে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ এইচ এম জহিরুল হক শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপণ করেন ভারতের জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ও ভারত সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এনএমআই এর উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ বি আর মানী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সম্মেলনের সভাপতি ও ইউল্যাবের সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান ও এসএসইএএসআর এর সভাপতি অধ্যাপক ড. অমরজিভ লোচন এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়য় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন।

ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক ইমরান রহমানের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক এবং ইউল্যাবের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১৩ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত চার দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ৩০টি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকরা ১৭০টি গবেষণা প্রবন্ধ পাঠ করবেন।