
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবী নিয়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নাটোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বুধবার সকালে শহরের কান্দিভিটাস্থ জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল।
এরপর অস্থায়ী কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভার মেয়র এবং জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি উমা চৌধুরি জলি সহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পরে এক মিনিট নিরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।এছাড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৯টায় কালেক্টরেট ভবন চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন ও পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে মোনাজাত করা হয়।
পরে এক শোক শোভাযাত্রা নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ভবানীগঞ্জ মোড়ে সরকারী গণগ্রন্থাগারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভার।এরআগে, নাটোর পৌরসভার আয়োজনে পৌরচত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরি জলি, পৌর পরিষদ এবং পৌর কর্মচারীরা।
এসময় এক মিনট নিরবতা পালন এবং বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পৌরমেয়র উমা চৌধুরি জলি বলেন, ছোট বেলায় আমি বঙ্গবন্ধুর স্নেহ, ভালবাসা পেয়েছি।
তার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমি মেয়র না থাকার পরও অাপনারা এই ভাবেই ১৫আগষ্ট পালন করবেন বলে আশা রাখি।
এসময় মেয়র আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সহ স্বপরিবারে হত্যার পর আমাদের বাড়িতে এই দিনে কোন রান্না হতো না, আজও রান্না হয়না।
অপরদিকে নাটোরের সিংড়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করছে।
এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস সহ সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ গ্রহন করে।
এছাড়া দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে দিনব্যাপী শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা,ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত, মিলাদ মাহফিল ও উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা।
জেলা জুড়ে নাটোর সদর শিরোনাম
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নাটোরে বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি//আমিরুল ইসলাম//নাটোর প্রতিনিধি
Leave a Reply