
গতকাল শুক্রবার খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের লেখা গানের সিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল অভিযোগ করেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আপিল সরকার দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা করছে।
৫ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন জনগণ আর হতে দেবে না বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায়ে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। তাই বিএনপির চেয়ারপারসনের অংশগ্রহণ ঠেকাতে সরকার মরিয়া।
গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। আদালত একই সঙ্গে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
এইসব মামলা নিয়ে আওয়ামী লীগের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী যদি নির্বাচনে অংশ নেন, তাহলে সেই নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি কেউ ঠেকাতে পারবে না। সে কারণে তারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত করে, মিথ্যা মামলা, সাজানো মামলা দিয়ে ঠিক নির্বাচনের আগেই এ মামলার কার্যক্রম শেষ করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছে। নজির নেই যে মাত্র তিন-চার মাসের মধ্যেই এই আপিলটাকে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়ার। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই মামলাটিকে একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা কাজ করছে।’
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, এই জামিনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না। তাঁকে আরো কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সেগুলোতেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জামিন নিতে হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।
পরে ১২ মার্চ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
বেশ কয়েকটি মামলা বহাল থাকায় বিএনপি নেত্রী এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না। দলটির সকল নেতাকর্মীর তাই সেদিকেই নজর, কবে নেত্রী মুক্তি পাবেন, এবং স্বপদে বহাল হয়ে নতুন কিছু পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply