
গত রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস বিমানবন্দরমুখী সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর পর রাস্তায় নেমে আসে আশেপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শোকের ছায়া নেমে আসে তাদের মাঝে। জানানো হয় কয়েক দফা দাবী।
আজ মঙ্গলবার মহাখালীতে নিহত কলেজ ছাত্রী দিয়া খানম রিয়ার বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রিয়ার বাবা, বোন ও মায়ের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন; এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার করার আশ্বাস তাদেরকে দিয়েছেন।
“দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়িটির চালক অদক্ষ ছিল কিংবা গাড়িটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। এটা কেন কীভাবে হলো সেটা দেখে তার বিচার করবো। ইতোমধ্যেই শুনেছেন বাসটি জব্ধ হয়েছে, চালককে ধরা হয়েছে। তার লাইসেন্স আছে কিনা সেটাও দেখবো। কারণ চালকের লাইসেন্স নেই বলে শোনা যাচ্ছে।”
উক্ত দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম রিয়া।
শাজাহান খান নৌমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকলেও পরিবহন শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি হওয়ার কারণে বেপরোয়া চালনায় সড়ক দুর্ঘটনা হলেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। বিভিন্ন সময় পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য তার এই সমালোচনা।
শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার পরও সমালোচনাবিদ্ধ তিনি।
এই ঘটনার বিচারে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান বাধা দেবে জনমনে সংশয়ের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারও বিরোধিতা এই ঘটনার বিচারকে বাধাগ্রস্ত করবে না।
“মন্ত্রী শাজাহান খান সাহেব আমাদের সরকারের অংশ। পরিবহন খাতের শ্রমিকদের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন তিনি। তিনিও বলছেন এর বিচার করতে হবে। উনি বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেবেন- এমনটি হতেই পারে না। তিনি বাধা দেবেন বলে যেই প্রসঙ্গটা আসছে আমার মনে হয় এই বাধায় কোনো কাজ হবে না। এটার উপযুক্ত বিচার হবেই।
এদিকে এঘটনায় দোষী পরিবহন শ্রমিকদের বিচার ও সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে মঙ্গলবারও রাজধানীর ফার্মগেইটসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা।
রাস্তায় বাস চালকেরা দিন দিনই যেন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গাড়ি চালাচ্ছে বিপজ্জনক ভাবে, যার ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে সাধারন মানুষকেই। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু আইনের ভেতর নিয়ে আসতে হবে। যার প্রয়োগই পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো থেকে আমাদের পরিত্রান দিতে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply