
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের এই বিশেষ অভিযানে নীলফামারীতে আটক করা হয়েছে ৩৪ জন। রবিবার রাত হতে সোমবার ভোর পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলার বিভিন্নস্থান হতে এদের আটক করা হয়।
ডিমলা উপজেলায় বিশেষ অভিযানের নেতৃত্বে দেন সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল (ডোমার-ডিমলা) জয়ব্রত পাল।
আটককৃতদের মধ্যে জেলার ডিমলা উপজেলায় ১৭ জন রয়েছে। এই ১৭ জনের মধ্যে জিআর মামলায় ১, মাদক ব্যবসায়ী ১ ও ৫১ ধারায় ১৫ জন। নীলফামারী সদরে মাদকে ৭, ডোমারে ১,জলঢাকায় ৪,কিশোরীগঞ্জে ২ ও সৈয়দপুরে ৩ জন রয়েছে। বিশেষটি নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশের কন্ট্রাল রুম ডিএসবি ওসি আব্দুল মোমিন।
ডিমলার সাধারন ও সচেতন মানুষজন পুলিশের এই অভিযানকে স্বাগত জানালেও মাদকের মূল গডফাদার ও মাদক সমরাটরা ধরা না পড়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে জানায় পুলিশের অভিযানে ওই ১৭ জনের বাহিরে আরো ৮ জন আটক করা করেছিল পুলিশ। কিন্তু এক প্রভাবশালী নেতার চাপে পুলিশ ওই আটজনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন বলেন যে আটজনকে ছেড়ে দেয়া হয় তারা নির্দোষ। তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা কোন অভিযোগ নেই।
এলাকাবাসী জানায় ভারত সীমান্ত ঘেষা ডিমলা উপজেলার প্রভাবশালী ও চিহ্নিত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা অধরাই থেকে যাচ্ছে। তাই সাধারন মানুষজন ডিমলায় ফেন্সিডিল,মদ,গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রির হোতা গডফাদার এসএম ফিরোজ,আতাউর রহমান ওরফে আতা, ডালিয়া এলাকার আশরাফুল, ডিমলার লোটন ও পারাবাজ, রিপন ও সায়েম, সঠিবাড়ি এলাকার আব্দুল কাদের, আনোয়ার হোসেন,দক্ষিন গয়াবাড়ি এলাকার জসিয়ারকে গ্রেফতারের দাবি করেছে। এলাকাবাসীর দাবি এই সকল মাদক সম্রাটকে গ্রেফতার করে সাজা নিশ্চিত করতে পারলে ডিমলা উপজেলা মাদকমুক্ত হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলমান রাখতে হবে। সেই সাথে নিশ্চিত করতে হবে, যেন প্রভাবশালী কোনো মহলের চাপে এর মূল হোতারা পালিয়ে যেতে না পারে। তবেই এ অভিযান সফলতা পাবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply