
সোমবার সকালে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে নোয়াখালী টাউন হলের মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুলসংখ্যক জনতা।
তাঁদের এই সমাবেশের পেছনে রয়েছে দূরপাল্লার বাসগুলোর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। নোয়াখালী-ঢাকা রুটে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে প্রধান সড়কে “আমরা নোয়াখালীবাসী” এর আয়োজনে জেলার বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজসহ ৩৫টি সংগঠনের ব্যানারে এই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজক আমরা নোয়াখালীবাসীর পক্ষে নোয়াখালী পরিবারের পক্ষে নাজমুল হাসান জানায়, নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী দুরপাল্লার বাসগুলো দীর্ঘদিন থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে। ৪০ আসনের চেয়ার কোচে বিআরটিএ নির্ধারিত দূরপাল্লার ভাড়া ১.৪২ টাকা হারে নোয়াখালী-ঢাকা রুটে ১৬২ কিমি দূরত্বে ভাড়া হয় ২৩০ টাকা। অথচ যাত্রীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এতে শিক্ষার্থীসহ নিম্ন আয়ের লোকজন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় জনসাধারণসহ যাত্রীরা জেলা প্রশাসনকে অবহিত করলেও তারা তাদের মতো করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে জেলার সকল পেশার নারী-পুরুষ বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করছে। এরপরও যদি বাস মালিকরা বেশি ভাড়া আদায় বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়।
একই সঙ্গে মানববন্ধনে অনেক বক্তা অভিযোগ করেন বলে জেলা শহরে একুশ ও হিমাচল পরিবহন নিজেরা তাদের ইচ্ছেমতো ব্যবসা করার জন্য অন্য কোনো পরিবহনকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এত করে ঢাকায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। সম্প্রতি ঈদুল ফিতরের সময় তারা ১৫ দিন পর্যন্ত নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২ থেকে তিনগুণ টাকা লুটে নেয়, যাত্রীরা বাধ্য অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হয়। তারা অবিলম্বে এ ধরনের অনৈতিক অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ করে নিয়মানুযায়ী ভাড়া আদায়ের দাবি জানায়।
মানববন্ধন শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে তারা নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক বিআরটিএ বরাবর স্মারকলিপি দেয়।
রাজপথে অনিয়ম যেন নিত্যকার এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় এর মূল চালকের আসনে ছিলো সিএনজি অটোরিক্সা গুলো। সম্প্রতি নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র পরিবহন বাসেও শুরু হয়েছে একরকম ডাকাতি। ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছে, সেটা না দিতে চাইলে অপদস্থ হতে হচ্ছে চলন্ত বাসেই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply