
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিজয়ী হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় পরাজিতদের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বাইরে গিয়ে ক্ষমতার ভারসাম্য ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তারা। বরাবরই তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানালেও বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহারে রাখছে না ঐক্যফ্রন্ট। তবে তারা নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরিসহ এ–বিষয়ক একটি ধারণা দিতে চায়।
নেতৃবৃন্দ আরও জানান, ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার প্রণয়নের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যেই তাঁরা বৈঠক করে ইশতেহার চূড়ান্ত করবেন। তবে বিএনপির সঙ্গে ইশতেহারের কিছু বিষয় নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলেও জানান তাঁরা। তাই ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি ও ২০–দলীয় জোটের আলাদা ইশতেহারও হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারই সবার সম্মতিতে করা হবে। তবে বিএনপি আলাদাভাবে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করতে পারে।
এ সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমাদের ভিশন ২০৩০ আছে, আর ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় ১১ দফা দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতেই ইশতেহার প্রণয়ন করা হবে। আগামী সোমবার নাগাদ বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে।’ তবে তিনি দলীয় ইশতেহারের বিষয়ে কিছু বলেননি।
ইশতেহার প্রণয়ন কমিটিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি থেকে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, গণফোরামের আ ও ম শফিক উল্লাহ, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইকবাল সিদ্দিকী ও নাগরিক ঐক্যের জাহেদ উর রহমান রয়েছেন। আজকের মধ্যে তাঁরা একটি ঘোষণা দেওয়ার কথা থাকলেও খসড়া ইশতেহারটি চূড়ান্ত না হওয়ায় তা প্রকাশ করেননি নেতৃবৃন্দ।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিধানের বিষয়ে খসড়া ইশতেহারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা না হলেও নেতারা আলোচনার মাধ্যমে সেটা ঠিক করবেন বলে জানান। তাঁরা বলেন, মানুষ যাতে মুক্তভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে এই সরকারের বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এখনো পর্যন্ত সংবিধানে এ ধরনের কিছু না থাকায় সরকার নিজের ইচ্ছামতো চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply