
কক্সবাজার জেলায় চকরিয়া পৌরসভায় একদিনে বিভিন্ন এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে ১৩ শিশু আহত হয়। চকরিয়া পৌরসভার ২, ৩, ৫ এবং ৮নং ওয়ার্ডর এলাকায় ২১নভেম্বর বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই ঘটনাটি ঘটে। ১৩ শিশু আহতরা
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে । এদিকে চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় বেমালিক কুকুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়াই এলাকাবাসী আতঙ্কে হয়ে ওঠে । আহত ১৩ শিশুরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার মনজুর আলমের ছেলে আবুল কাশেম (১৬), মো. জাকারিয়ার ছেলে মো. জিসান (১৭), মনজুর আলমের ছেলে ইয়াছিন
আরাফাত (৭), ৮ নং ওয়ার্ড স্টেশনপাড়া এলাকার তানভীরের মেয়ে তাজবি (৬), ফাঁশিয়াখালী এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে আহাদ (৮) ২নং ওয়ার্ড এলাকার মো. ইদ্রিছের ছেলে সাজ্জাদ (৮), ৩ নং ওয়ার্ডের বাটাখালী এলাকার আবদুল গণির ছেলে জয়নাল আবেদীন (১২), নুরুল হকের ছেলে সুমন (৭), আকতার আহমদের ছেলে মনজুর আলম (১১), জয়নাল আবেদীনের ছেলে রিপু (১৪), আবুল কালামের মেয়ে তারিন (১৭), মো. জুনাইদের ছেলে আবরার (৪), ৫নং ওয়ার্ড উত্তর কাহারিয়াঘোনা এলাকার মো. হাসানের মেয়ে সিফাত (১০)।
আহত ইয়াছিনের বড় ভাই আমজাদ হোসেন জানায়, সকাল থেকে পাগলা কুকুরটি আমাদের এলাকায় এসে বুধবার ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুরা রাস্তায় খেলাধুলা করে, ও অনেকে বেড়াতে বের হয়। ওই কুকুরটি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের এলাকার ৪ শিশুকে কামড়দে। আমার ছোট ভাই
ইয়াছিন আরাফাত মায়ের সাথে বেড়াতে যাওয়ার সময় রানে কামড় দিয়ে চলে যায়। এলাকার স্থানিয় এলাকাবাসীরা ঐ পাগলা কুকুরটিকে ধাওয়া করে মেরে ফেলার জন্য।
মো. নিজাম উদ্দিন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী চিকিৎসক জানায় আহত ১৩ শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। হাসপাতালে সরকারীভাবে র্পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় বাইরে থেকে ক্রয় করে ভ্যাকসিন পুশ করা হয়। আহতরা প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ কুকুরের কামড়ে আহত শিশুর পরিবার দরিদ্র হওয়াই ভ্যাকসিন কিনে পুশ করতে পারচ্ছে না।
মো. আলমগীর চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভার মেয়র জানায়, চকরিয়া পৌরসভায় কোন ধরনের ভ্যাকসিন নেই। সরকারীভাবে বেমালিক কুকুর নিধনের আইন থাকলেও তিনি এবিষয়ে অবগত নয় বলে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply