
রাজধানীর উত্তরার ‘হাংরি ডাক’ চাইনিজ রেস্তোরাঁয় কোরাল মাছের নাম করে পাঙ্গাস মাছ পরিবেশন করার প্রমাণ পেয়েছেন র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে ৮ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
কোন রেস্তোরাঁয় গিয়ে আয়েশ করে অর্ডার করলেন সামুদ্রিক কোরাল মাছ। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে উচ্চমূল্য পরিশোধ করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে হয়তো হেলে-দুলে বাসায় ফিরছেন। কিন্তু কোরাল মাছের নামে ওই অভিযান রেস্তোরাঁর মালিক আপনাকে খাইয়ে দিয়েছে পাঙ্গাস মাছ!
কিংবা ধরেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখা হচ্ছে আপনাকে। কী সুন্দর পরিবেশন ব্যবস্থা। দেখলেই রুচি চলে আসে। কখনো খোঁজ নিয়ে দেখা হয়েছে, যেখান থেকে খাবারটা তৈরি করা হয়- সেটাও এত পরিষ্কার তো? না তেলাপোকা, মাকড়সা কিংবা আবর্জনা আর আপনার স্বাদের খাবারটা একই স্থানে তৈরী হয়েছে?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুজতেই সোমবার (০৪ জুন) দিনভর পরিচালিত র্যাাব-১ এর এ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন র্যা বের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। প্রতিষ্ঠানটিকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা ও ব্যবস্থাপক রুবেলকে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
একই অভিযানে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করা এবং বাসি পঁচা খাবার বিক্রির দায়ে খাজানা রেস্তোরাঁকে দেড় লাখ টাকা এবং হিমালয় রেস্তোরাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সারওয়ার আলম আরো জানান, একই এলাকার আলীবাবা সুইটস নামে একটি মিষ্টির দোকানে অভিযান চালিয়ে দেখা যায় বাসি মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছিলো। এছাড়া মিষ্টিতে তেলাপোকা থাকায় এবং নোংরা পরিবেশে মিষ্টি সংরক্ষণ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মানুষের মধ্যে বিবেকটা জাগ্রত করতে হবে। এটি আসতে হবে নিজের ভেতর থেকেই। দু’টাকা বেশি লাভের আশায় একটি বলে অন্যটি খাইয়ে দেয়া, কিংবা অসুস্থ পরিবেশে খাবার তৈরী করা এসবই গুরুতর অপরাধ।
তবে সকলকেই হয়তো আইনের আওতায় এনে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়- যদি তারা নিজেরা মানুষ হিসেবে এগিয়ে না আসে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply