
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হওয়ার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
এদিকে সচিবালয়ে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুর্নীতির আখড়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার সাফল্য হলো এই রায়।’
আদালতের নিয়ম অনুযায়ী রায় প্রকাশের ৬০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে খালেদা জিয়াকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বললেন ।সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে জেল কোড অনুসারে সব সুবিধা পাবেন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রায় নিয়ে সারাদেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোনও জায়গায় কোনও প্রতিবাদ হয়নি। কোনও আতঙ্ক নেই। আমি খোঁজ নিয়েছি বাংলাদেশের সব অঞ্চলে মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
তিনি বলেন, কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। জনজীবনে বাধার সৃষ্টি করতে চায়। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই রায় দেন।
এছাড়া, এই মামলায় তারেক রহমানসহ অন্য ৫ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়া এবং অপর দুই আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তবে সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
Leave a Reply