
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জামায়াত-বিএনপির কর্মীরা ডিউটিরত পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ৪-৫টি ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ছাত্রদল কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, উপজেলার পাঁচরাস্তা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম আকনের ছেলে অপূর্ব হাসান রনি (২৫) ও কামাল চৌকিদারের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (১৮)। এরা দুজন উপজেলা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কলেজ ছাত্র আ. রহিম (১৮), সোলায়মান (২০) ও ইমরান (১৯) জানান, তাদের সামনেই ৭-৮ জন অজ্ঞাত লোক বোমা ফাটিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, বিএনপির কর্মসূচী উপলক্ষ্যে পুলিশি টহল চলাকালে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ৪-৫টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
সব ককটেল গাড়ির কাছাকাছি বিষ্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে এ ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।
সভা সমাবেশ স্থলে ককটেল বিস্ফোরন করা মোটেও কোনো রাজনৈতিক দল সুলভ আচরণ নয়। এ ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অপচেষ্টা থেকে সকলকেই সরে আসা উচিৎ। শান্তিপূর্ণ সভা কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচি সকলের জন্যে মঙ্গলকর।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply