
জাহেদ হাছান তালুকদার, স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলী খেলা উপলক্ষে আয়োজিত বৈশাখী মেলা জমে উঠেছে। বলী খেলা বৃহস্পতিবার শেষ হলেও এর অন্যতম অনুষঙ্গ লোকজ পণ্যের মেলা এখনও চলছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় ভীড় জমান শত শত নারী-পুরুষ। ঠিক শনিবারেও শত শত নারী-পুরুষ আগমন ঘটে।
বেচাকেনাও ছিল জমজমাট। মেলা ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। নিয়ম অনুযায়ী শুক্রবার এ মেলার শেষ দিন হলেও আয়োজকরা জানিয়েছেন অনানুষ্ঠানিকভাবে চলবে আরও কয়েকদিন। বৈশাখী মেলায় ব্যবসায়ীরা হরেক রকমের পণ্য নিয়ে আসে। যা মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলে। মেলায় লোকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাতসামগ্রী, হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী পাওয়া যায়।
এ ছাড়া শিশু-কিশোরদের খেলনা, মহিলাদের সাজসজ্জার সামগ্রী ইত্যাদি মেলে মেলায়।মেলায় বাবার হাতে ধরে শিশুদেরও অংশ নিতে দেখা যায়। এবার প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বৈশাখী মেলা বসেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা গৃহস্থালি পণ্য, আসবাবপত্র, খেলনা, মৌসুমী ফলসহ নানা পণ্যসামগ্রী নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন কেসিদে রোড, জেল রোড, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালি মোড় ও শহীদ মিনারের সামনের এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়। ফুটপাত ছাড়িয়ে বেচাকেনা চলছে সড়কেও।
এই মেলায় শীতলপাটি, হাতপাখা, শিল-পাটা, ঝাড়–, মাটির ব্যাংক, ফুলের টব, ফুলদানি, মাছ ধরার চাঁই, পলো, তাঁতের শাড়ি, চুড়ি, মাটির বাসন-কোসন, পুতুল, চেয়ার, টেবিল, খাট, পালঙ্ক, দা, বটি, খুন্তি, তরমুজ, বাঁশি, প্লাস্টিকের খেলনা, বাঙ্গি, পাকা শসা, বাতাসা, জিলাপিসহ নানা রকম মিষ্টান্ন। শহীদ মিনারের সামনের এলাকায় বিশাল পরিসরে বসেছে আসবাবপত্রের মেলা। কুমিল্লা থেকে আসবাবপত্র নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী রহিম উল্লাহ। তিনি জানান, বেচা-বিক্রি বেশ ভালো। তবে এখনও কিছু পণ্য অবিক্রীত রয়ে গেছে। তাই আরও তিন-চারদিন থাকতে হবে। সব জিনিসপত্র বিক্রি করে তবেই কুমিল্লায় ফিরবেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply