
বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে, কিংবা প্রবাসী বাঙ্গালীরা নিজেদের উদ্যোগে পালন করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এবার পালিত হল ভিয়েতনামেও।
যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে মান্যবর রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ ভোরে চ্যান্সারি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ, তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বাংলাদেশে প্রধান মন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনকালীন সময়ে একযোগে চ্যান্সারি ভবনে জাতীয় সংগীতে সকলে অংশ নেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ‘বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক’ এক আলোচনার সূত্রপাত করেন। এ সময় প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে মহান স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। ৩০ লক্ষাধিক শহীদদের আত্মত্যাগ এবং ২ লক্ষাধিক মা ও বোনের সম্ভ্রমহানীর বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা তিনি ও অন্যান্য বক্তারা বিনম্ভ্র শ্রদ্ধাসহকারে স্মরণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসুরী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং অর্জনের উপর রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল । তিনি বলেন ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে । তিনি বলেন বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে এ দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী শেরাটন হ্যানয় হোটেলে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এ অনষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিয়েতনাম সরকারের ডেপুটি ফরেন মিনিষ্টার দাং দিন কুই। ভিয়েতনামে ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূতসহ ভিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, প্রবাসী বাংলাদেশীগণ, ভিয়েতনাম কমিউনিষ্ট পার্টির এক্সটারনাল রিলেশনস কমিশনের মহা-পরিচালকসহ ভিয়েতনামের উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাগন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবসায়িক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
বিভিন্ন দেশে পালিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস দেশকে বিশ্বের দরবার করবে আরো পরিচিত, এবং সম্মানীয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply