
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী জেরেমি হান্ট সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার চায় আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হোক এবং সব রাজনৈতিক দল এতে অংশ গ্রহণ করুক।
বৈঠকের পরে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
জেরেমি হান্ট বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠ এবং অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করছে যুক্তরাজ্য। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাও চাই আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হবে এবং সব রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নেবে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, এই সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। তবে, তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি আমরা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি এবং তাদের দেশে ফেরার জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরবে। তবে তেমনটি ঘটছে না।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নামে একটি দ্বীপে স্থানান্তরে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো: নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এরআগে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী মিশন আয়োজিত গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন অন ওয়ার্ল্ড ড্রাগ প্রোবলেম বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে অংশ নেন। অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও কার্যত তেমন কোনো উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মিয়ানমার তাঁদের ফিরিয়ে নিতে যথেষ্ট আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এই বিপুল সংখ্যক বাড়তি জনগোষ্ঠীকে ধারণ করতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply