
সমগ্র বিশ্বেই বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্ক বজায়ে বানিজ্য একটি বড় পরিবাহক। দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্কের পরিণতি হিসেবেও দেখা যায় বানিজ্য যুদ্ধ।
বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির আকার বেড়েছে। গেলো দেড় বছরের বাণিজ্য ঘাটতির আকার সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। জুনে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বা ৩২০ কোটি ডলার বেড়ে ৪ হাজার ৬৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কাকেও ছাড়িয়েগেছে এই বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ। মাস ভিত্তিতে বাণিজ্য ঘাটতির আকার ২০১৬ সালের নভেম্বরের পর সবচেয়ে বেশি।
অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, এবছর বাণিজ্য ঘাটতির আকার আগের বছরকেও ছাড়িয়ে যাবে। এর ফলে দেশটির প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনাকেই নিজের বাণিজ্য নীতির প্রধানতম লক্ষ্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে তার সকল চেষ্টাকে ব্যর্থ করে উল্লেখিত বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ মার্কিন অর্থনীতিবিদই মনে করেন ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি ভুলপথে পরিচালিত হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করার পর বিভিন্ন দেশও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও মেক্সিকোর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে।
মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনবিসি দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মার্কিন অর্থনীতিবিদ ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো স্টিফেন রোশ বলেন, চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হতে পারবে না। কারণ বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের চেয়ে পরাজয়টাই বেশি সহজ। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র এখন বাণিজ্য যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পথে রয়েছে।
তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধটা কত দিন স্থায়ী হবে তার কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই। এ যুদ্ধে চীনের পরাজয় ঘটবে বলে তিনি মনে করেন না। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, চীনের সস্তা দামের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি মেটানোর তহবিল যোগাতেও চীনের ওপর নির্ভরশীল।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply