শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও দেশটির বিভিন্ন জায়গায় গাছ বা ঘরের নীচে চাপা পড়ে কমপক্ষে পাঁচজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ফণীর আঘাতে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে এপর্যন্ত আট ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। খবর বিবিসির।
ঢাকায় আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, বাংলাদেশে ফণীর বিপদ কেটে গিয়ে সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তরাঞ্চল দিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি ফণী দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং পাবনা, ঢাকা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিকূল আবহাওয়া তৈরি হয়।
নোয়াখালির সুবর্ণচরে টর্নেডোতে একটি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। ভোলা ও লক্ষীপুরে দুই নারী নিহত হন।
বরগুনায় দুই বৃদ্ধা দাদী এবং তাদের এক নাতি মারা গিয়েছে।
এসব জেলার জেলা প্রশাসক বিবিসিকে এসব মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার সকালে ফণী ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানে। সেখানে এপর্যন্ত আট ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান শনিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি কমে যাওয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা জনসাধারণকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ঝড়টি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার ফলে সমুদ্রবন্দরগুলোকে বিপদ সঙ্কেত নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply