
বাংলাদেশের বিমান পরিবহন ব্যবস্থা কখনোই খুব একটা আশাপ্রদ ছিলো না। নানা রকম অনিয়মে এই খাতটি মুখ থুবড়ে পড়েছিলো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অবস্থার যেন কোনো পরিবরতনই নেই। অথচ এটি হতে পারতো পরিবহনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত।
এবার কর্তৃপক্ষের অবহেলার মাসুল দিতে হলো যাত্রীদের। উড্ডয়নের পর পরই প্রচণ্ড গরমে হাঁপিয়ে ওঠেন যাত্রীরা। তাঁরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন—উড়োজাহাজের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা (এসি) যে কাজ করছে না! এক ঘণ্টার পুরো যাত্রাপথেই ছিল এই অবস্থা।
শুক্রবার বেলা ৩টা ১০ মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। কিন্তু যাত্রীরা জানান, যাত্রার পরপরই তাঁরা বুঝতে পারেন বিমানটির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা (এসি) কাজ করছে না। এতে বিমানের ভেতরে প্রচণ্ড গরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এমনকি তাঁদের দম নিতেও সমস্যা হয়। বিমানটিতে ৭৩ জন যাত্রী ছিলেন।
নীলফামারী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দেওয়ান বিপ্লব আহমেদ ছিলেন ওই বিমানের যাত্রী। ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর পরই মোবাইলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, বেলা ৩টা ১০ মিনিটে উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রীরা খেয়াল করেন, এসি কাজ করছে না। এ নিয়ে তিনি বিমানের ক্রুদের সঙ্গে কথা বললেও সদুত্তর মেলেনি। প্রচণ্ড গরমে বিমানের ভেতরে প্রায় অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শাহীন আহমেদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘বিমান উড্ডয়নের পর এসি কাজ করেনি এটি আমার জানা নেই।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সৈয়দপুর জেলা ব্যবস্থাপক আবু আহমেদ ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এসিতে ত্রুটি থাকার পরও ওই বিমানের ক্যাপ্টেন কীভাবে বিমানটি উড্ডয়ন করালেন তা বলতে পারছি না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এমন একটি ঘটনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলারই ফসল। বিমানের মতো একটি ব্যয়বহুল পরিবহনে এমন ঘটনা মোটেও সাধারন মানুষের কাম্য নয়। বিষয়টি নজরে এনে এমন পরিস্থিতি যে আর সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে নজরদারি করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply