
নানা কারণে দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা আওয়ামী লীগের সাবেক ৪ মন্ত্রী আবারও সক্রিয় হয়েছেন রাজনীতিতে। নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিতে এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছেন দৌড়-ঝাঁপ। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ডা. আ ফ ম রুহুল হক, মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও আবুল কালাম আজাদ।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন সরব হয়ে উঠেছেন নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান করে নিতে। সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে নৌকা প্রতীক ৩ লাখ ২ হাজার ৬ ভোট পেয়ে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালে সাহারা খাতুন সংসদ সদস্য হওয়ার পর বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। এখন তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক সরব হয়ে উঠেছেন নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিতে। গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক) আসন থেকে। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে তিনি ৩ লাখ ৪ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
নানা কারণে আলোচনা আর সমালোচনায় মুখর আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর- (কচুয়া) ১ আসনে মহিউদ্দীন খান আলমগীর ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৬ ভোট পেয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আলোচনার বাইরে থাকা সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদও সরব হয়ে উঠেছেন রাজনীতিতে। এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামালপুর-(দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ)- ১ আসনে দুই লাখ ৭৪ হাজার ৬০৫ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে স্বরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং আবুল কালাম আজাদকে তথ্য থেকে সরিয়ে শুধু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সময় ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর হাসানুল হক ইনুকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সাবেক মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, মহিউদ্দীন খান আলমগীর, সাহারা খাতুন ও আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভায় আর স্থান হয়নি। সে থেকেই অভিমানে দল থেকে দূরে ছিলেন তারা। সাহারা খাতুন ছাড়া বাকি তিন সাবেক মন্ত্রীকে দলীয় কার্যালয়েও দেখা যায়নি গত পাঁচ বছরে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নের আগে এই চার মন্ত্রীকে রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হতে দেখা যায়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তারা বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করেন। এখন তারা আশা করছেন নতুন মন্ত্রিসভায় আবারও ঠাঁই পাবেন। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হবে আগামী ৭ জানুয়ারি (সোমবার)। ওই দিন গঠন হবে আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায়।
নতুন মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া না দেওয়া প্রসঙ্গে অ্যাভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, আওয়ামী লীগে যোগদানের পর থেকে কেউ বলতে পারবেন না, নিজের জন্য কখনও দলকে ব্যবহার করেছি। আমি নিজের জন্য দল করি না। দলের জন্য কাজ করি। আমাদের (আওয়ামী লীগ) সভাপতি তার মেধা-অভিজ্ঞতা দিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকে দায়িত্ব দেবেন। এ বিষয়ে চাওয়া বা বলার কিছুই নেই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply