
ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টির কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভোর রাত থেকে রোববার (১০ জুন) দুপুর ২টা পর্যন্ত নিখোঁজ হয়েছেন ২০ জেলে।
নিখোঁজ হওয়া ওই ২০ জেলের মধ্যে মাত্র ৪ জনের সন্ধান মিলেছে। বাকিদের সন্ধানে কাজ করছে স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসন।
চৌফলদন্ডীর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান বলেন, চৌফলদন্ডীতে থেকে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে একটি ট্রলার ডুবি’র ঘটনা ঘটে। এতে ৭ জন নিখোঁজ ছিল। তাদের মধ্যে ৪ জনকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছে। বাকিদের সন্ধান এখনো মিলেনি।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, স্থানীয় জেলে বেলালের ছেলে মামুন, আব্দুল বারেকের ছেলে মোক্তার আহমদ, নুরুল আলমের ছেলে বেলাল এবং ইসমাঈলের ছেলে দুদু মিয়া। তারা সবাই চৌফলদন্ডী ইউপি দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা।
কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহামদ বলেন,ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলের হিমছড়ি, কলাতলী, শৈবাল, ডায়বেটিকস পয়েন্ট, বাকখাঁলী চ্যানেল, মহেশখালী এবং কুতুবদিয়া চ্যানেলে ১৬টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
এতে একজন নিহত হয় এবং এ পর্যন্ত ১৩ জন আহতাবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সাগরে মাছ আহরণ করতে যাওয়া প্রায় সব ট্রলার তীরে ভিড়েছে। আশা করছি যেগুলো এখনো পৌঁছেনি সেগুলো সোমবার সকালের মধ্যেই নোঙ্গর করতে পারবে।
কক্সবাজার সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম বলেন, নিখোঁজদের সন্ধান ও পরিচয়ের ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সহায়তায় উপকূলের আশেপাশে নিখোঁজদের সন্ধান করা হচ্ছে।
এই মৌসুমে জলবায়ুর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এতে সাগরে ট্রলার ডুবে প্রায়শই হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে।
এর কারন জেলেদের অজ্ঞতা, সঠিক সময়ে সতর্কতা সংকেতের বিষয়ে সতর্ক না হওয়া। আবহাওয়া অফিস প্রদত্ত সতর্ক সংকেত মেনে চললে এর থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply