
দুর্বৃত্তরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের। এই ঘটনায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশে ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নুসরাতের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তাকে নিবির পর্যবেক্ষণের আওতায় নেয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তালাক হয়ে যাওয়া স্বামীর নেতৃত্বে আক্রমণ করে রায়হানা আক্তার নুসরাত (২২) নামে মাদ্রসা ছাত্রীর দুই পায়ের রগ কেটে দেয়া হলে গুরুতর আহত অববস্থায় তাকে ঢাকার বাংলাদেশ ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সরাইল থানায় রায়হানা আক্তার নুজরাতে মা হাজেরা খাতুন বাদী হয়ে সাবেক স্বামীসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। তবে ঘটনার পুলিশ তিন দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি।
মামলার এজহারে বলা হয়, গত চার বছর আগে জেলার সরাইল উপজেলার শাহ্বাজপুর গ্রামের ইসমাঈল মিয়ার মেয়ে রায়হানা আক্তারের সাথে একই গ্রামের মৃত মব্বত আলী ছেলের কামরুল মিয়ার। বিয়ের পর রায়হানা আক্তার নুজরাতে পরিবারে লোকজন জানতে পারেন কামরুল মিয়া একজন মাদকাসক্ত। সে প্রায়ই যৌতুকের জন্য রায়হানাকে মারধর করত। কামরুল পাঁচ লাখা টাকা যৌতুক দাবি করে রায়হানার পরিবারের কাছে। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় রায়হানার উপর শারীরিক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। এসব সহ্য না করতে না পেরে গত সাত মাস আগে রায়হানা আক্তার নুজরাত নিজেই কামরুল মিয়াকে তালাক দেন। এরপর স্থানীয় শাহ্বাজপুর হাজীপাড়া মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি হয় সে। তবে তালাকের পরও রায়হানা আক্তার নুজরাতে পিছু ছাড়েনি কামরুল মিয়া।
মাদারাসায় আসা-যাওয়ার পথে রায়হানাকে উত্যক্ত ও ভয়ভীতি দেখাত কামরুল মিয়া। আবার সংসার করার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৩ মার্চ সকালে রায়হানা মাদারাসায় যাওয়ার পথে স্থানীয় হাবলিপাড়া মসজিদের সামনে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কামরুলসহ আরও কয়েকজন তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। একপর্যায়ে তারা রায়হানার আক্তার নুজরাতে দু’পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে বুধবার দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক হাসপাতলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
রায়হানা আক্তার নুজরাতে মা হাজরা খাতুন জানান, ওর (কামরুল) যন্ত্রণায় আমার মেয়ে সংসার ত্যাগ করেছে। তারপরও আমার মেয়েকে শান্তি দিচ্ছে না। আামি আমার মেয়ের উপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরাইল থানা ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা মো. মফিজ উদ্দিন ভুইয়া জানান ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা সাথে সাথেই মামলা নিয়েছি। আসামী গ্রেপ্তারে ব্যাপারে নিয়মিত অভিযোন চলছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / ক.আ।
Leave a Reply