জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে বেরিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বরতার নিন্দা করায় দেশটি এ সিদ্ধান্ত নিলো।
সংস্থাটির বিরুদ্ধে ‘নোংরা রাজনৈতিক পক্ষপাতের’ অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
নিকি হ্যালি বলেন, কপট ও স্বার্থপরায়ণ সংস্থাটি মানবাধিকারকে প্রহসনে পরিণত করেছে। মাইক পম্পেও জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদকে মানবাধিকারের দুর্বল রক্ষক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গত বছর জাতিসঙ্ঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছিলেন, জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদ ধারাবাহিকভাবে চরম ইসরাইলবিরোধী ভূমিকা পালন করছে। সংস্থাটির সদস্যপদের বিষয়টি মূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র। পক্ষপাত করলে বা ইসরাইলবিরোধী ভূমিকা না বদলালে নিজেদের প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কূটনৈতিক ও মানবাধিকারকর্মীরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সংস্কার প্রস্তাব যথাযথ অনুসরণ না করাও ওয়াশিংটনের পরিষদ ত্যাগের সিদ্ধান্তকে ত্বরান্বিত করছে। অধিকারকর্মীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা সমুন্নত রাখার তৎপরতা ব্যাহত হতে পারে।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বিবৃতিতে বলেছেন, জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের থাকার বিষয়টি অধিকতর শ্রেয়।
জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে বেরিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে ইসরাইল। ২০০৬ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ গঠিত হয়। জেনেভাভিত্তিক এই কাউন্সিলের লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষা।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখলের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে রেখে আসছে মানবাধিকার পরিষদ। এ কারণে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বুশ প্রশাসন পরিষদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি। ২০০৯ সালে ওবামা সরকার পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্বের একটি প্রভাবশালী দেশের এই প্রত্যাহারের ঘটনা জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে। এটি ব্যহত করতে পারে সংস্থাটির সকল কার্যক্রমও।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply