দেশে বসন্তকাল এলেও ফাল্গুন মাসে কুয়াশা, হালকা শীত, মেঘলা আকাশ সঙ্গে বাতাস বিদ্যমান রয়েছে। যে কারণে আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন, এই বিরূপ আচরণ সম্পূর্ণ মার্চ মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে। এই মাসে ঝড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি, বন্যা, দাবদাহ সবই থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে বাংলাদেশের ওপর ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব রয়েছে। এর প্রভাবে আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঢাকায়ও এর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থা আগামীকাল (৬ মার্চ) পর্যন্ত চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কালবৈশাখীর পাশাপাশি এই মাসের শেষ দিকে তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে দেশের ওপর দিয়ে। সে সময় তাপমাত্রা উঠতে পারে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ মাসেই দেশের? উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যভাগে ১ থেকে ২ দিন শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী বা বজ্রসহ ঝড় হতে পারে। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য জায়গায় ৩ থেকে ৪ দিন শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী বা বজ্রসহ ঝড় হতে পারে।’
গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ মেঘলা রয়েছে। গতকাল সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, পাবনা, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং টাঙ্গাইল অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ১/২ দিন শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা ৩৪-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকতে পারে। মাসের শেষের দিকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও ভারীবর্ষণের কারণে এ মাসেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে মার্চের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply