
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন কে বাধাগ্রস্ত করতে বৃহস্পতিবার সারাদিন সীমান্তে বড় ধরণের সেনা সমাবেশ করে মিয়ানমার। সেই সাথে তারা সেখানে ভারী অস্ত্র মোতায়েন করার পাশাপাশি টহলও জোরদার করে। দিন ভর এ সকল ঘটনার পর মিয়ানমারের সেনারা রাতে তমব্রুতে রোহিঙ্গা শিবিরে হামলা করে।
তমব্রু সিমান্তের জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে রাত আটটার দিকে জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের উপর গুলিবর্ষণও করে। তবে রোহিঙ্গারা সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা পিছু হটে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
এই হামলার পর সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বিজিবি জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এ বিষয়ে এক তথ্য সূত্র থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত আটটার পরে মিয়ারমানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) তমব্রুতে নো ম্যানস ল্যান্ডে সীমান্তের কাঁটাতার টপকানোর চেষ্টা করে। এ সময় নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের উপর তারা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এ সময় রোহিঙ্গারা প্রতিবাদ করলে বিজিপি তাদের উপর গুলি করে। তবে এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি।
তমব্রু সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান করা একজন রোহিঙ্গা জানান, মিয়ানমানের সীমান্ত রক্ষীরা সন্ধ্যার পর থেকে ই কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে ঢুকার চেষ্টা করে। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক মনজুরুল আহসান খান জানান, এই ঘটনার পর থেকে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আজ সীমান্তে মিয়ানমারের সেনা নিবাস করার কারন জানতে চেয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিকালে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লোইন ‘উ কে ডেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ লিপি তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে বিজিবি জানায়, তমব্রু সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। নোম্যান্স ল্যান্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে আজ সকাল থেকে অবস্থান নেয় দেশটির সেনারা। সেখানে আগে যে পরিমাণ রোহিঙ্গা ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply