
নওগাঁর ধামইরহাটে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে গাছের খর-কুটো ও পাতা বিক্রির অর্থদিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে জোতমাহমুমপুর (আলতাদিঘী) গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মতিবুল ইসলাম (৭০)। প্রতিদিন শালবনে ও দিঘীর পাড়ে গাছের পাতা ঝাড়– দিয়ে বস্তা ভরে রাখে এবং সকাল বেলায় নিজের ব্যবহৃত ভাঙ্গা ভ্যানে করে তা প্রতি বস্তা ২০ টাকা দরে বিক্রি করে। আর এসব কাজে তার স্ত্রী তাকে সহযোগিতা করে। ধামইরহাট থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুর রউফ জানান, মতিবুল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা,
যুদ্ধে আমার সাথে সে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেছে কিন্তু, যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন না করায় সে ভাতা হতে বঞ্চিত আছে, সে (বিএলএফ) মুজিব বাহিনীর সদস্য।” ভাতা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা মতিবুল ইসলাম বলেন, আমি পাতা বেচাকেনা করে দিনযাপন করি, বনবিভাগের খাস জমিতে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে মাথা গুজে আছি, আমি মুক্তিযুদ্ধে ওস্তাদ জাফরের নিকট শিলিগুড়ি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আমিসহ মুক্তিযোদ্ধা আজগর, রফিক, সোলেমানসহ অনেকেই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের কাগজপত্র আমার বৃদ্ধা
মাতা সেগুলো হারানোর জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারিনি, কাগজগুলো খোজার চেষ্টা করছি। ভূমিহীন এই মুক্তিযোদ্ধা দৈনিক পাতা বিক্রি করে যে টুকু আয় হয়, তা সন্তানের পড়ালেখার খরচসহ অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর দিন কাটান। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তি ও সকল সুবিধা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানান।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply