
মৌলভীবাজারের মেয়ে ডলি ১১ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে কানাডায় আসেন। ২০১৫ সালে টরন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন। পরে সিটি অফ টরন্টোতে কর্মরত ছিলেন। তিনি এবার এনডিপি থেকে অন্টারিও এর স্কারবোরো নর্থসাউথ আসন থেকে এমপিপির মনোনয়ন পান। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ জুন) প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিদের হারিয়ে তারুণের প্রতীক হিসেবে ১২৩জনের সঙ্গে সংসদের আসন লাভ করলেন।
কানাডায় প্রথম বাংলাদেশি মেয়ে ডলি বেগম অন্টারিও প্রাদেশিক সংসদের এমপিপি নির্বাচিত হয়ে এক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। তার ঐতিহাসিক বিজয়ে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে আনন্দোৎসবের বন্যার জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। রেকর্ড অর্জন করা ডলির বিজয় যেন বাংলাদেশের বিজয়। এ বিজয় যেন প্রতিটি বাঙালির বিজয়।
ডলি ১৯৭৫১ তথা ৪৫.৫১% ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিবারেল পার্টির গ্রে এলিয়েস পান ১৩,৫৯২ তথা ৩১.৩২% আর কনজারভেটিভ পার্টির লরেঞ্জো বেরারডিনেটি পান ৮,২১৫ অর্থাৎ ১৮.৯৩% এবং গ্রিন পার্টির ডেভিড গ্রান্ডে পান ১১৪৪.২৬% ভোট।
ডলি বলেন, নির্বাচনে আমি অভিভূত হয়েছি মতভেদ ভুলে বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধতা দেখে। এ বিজয় আমার নয়; সকল বাংলাদেশির বিজয়। তাই ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ঐক্যের জয় অনিবার্য।
বাংলাদেশের নারীর এই অর্জন বিশ্বের বুকে আরো একবার নতুন করে চেনালো দক্ষিণ এশিয়ার এই ছোট্ট দেশটিকে। এভাবে আমরা সকলেই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে গিয়ে এসে নতুন কিছু করবার চেষ্টা করি, তবেই দেশ এগিয়ে যাবে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply