
আমেরিকার একটি আদালত ৬ মাসের জেল দিয়েছে একজন নারীকে । কারণ হিসেবে জানা যায় ইউটিউবে ভিডিও ভাইরাল হবে এ আশায় ওই নারী তার বয়ফ্রেন্ডের বুকে গুলি চালিয়েছেন।
পেড্রো রুইজ নামে এক ব্যক্তি নিজের বুকের ওপর একটি ডিকশনারি ধরে রাখেন এবং নারী বন্ধু মোনালিসা পেরেসকে বলেন গুলি চালাতে।
কিন্তু ১.৫ ইঞ্চি পুরু অভিধান ভেদ করে তার বুকে গিয়ে লাগে গুলি। পরে চিকিৎসকরা রাইজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। -সুত্রঃ বিবিসি।
ছয় মাস আগে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের হ্যালস্টাডে উক্ত ঘটনাটি ঘটেছে । মামলার বিবরণে রয়েছে, রুইজ ও মিস পেরেস তাদের জীবনযাত্রার ভিডিও প্রতিদিন ইউটিউবে আপলোড করতেন। তারা বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের প্র্যাংক বা রসিকতাও করতেন অনলাইনে। কিন্তু সেগুলো ছিল শুধুমাত্র নির্দোষ রঙ্গরসিকতা।
টুইটারে মোনালিসা বলেন, আমি ও পেড্রো সম্ভবত খুবই বিপজ্জনক এক ভিডিও শুট করব। এটি তারই পরিকল্পনা- আমার না।
কিন্তু গত বছর জুন মাসে তারা পরীক্ষা চালিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন যে একটি বন্দুকের গুলি ডিকশনারি ভেদ করতে পারে কিনা। তাদের ধারণা ছিল গুলি ডিকশনারি ভেদ করতে পারবে না।
তারা ধারনা করেছিলেন যে সেই ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করা হলে সেটি ভাইরাল হবে এবং তারা দ্রুতই বিখ্যাত হয়ে উঠবেন। এই পরীক্ষার সময় সেখানে অন্তত ত্রিশ জন উপস্থিত দর্শক ছিলেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, পেরেস তার শক্তিধর ডেজার্ট ঈগল বন্দুক দিয়ে রুইজের বুকে গুলি চালান। গুলি লাগার পর রুইজ পড়ে যান। জরুরি ফোনে ডাক্তার ডাকা হয়। রুইজকে বাঁচানো যায়নি।
এ ঘটনা নিয়ে যে মামলা হয়, তাতে প্রমাণিত হয় যে রুইজ নিজেই চেয়েছিলেন তার ওপর গুলি করা হোক। তারপর অনিচ্ছাকৃত খুনের জন্য আদালতে দোষ স্বীকার করেন পেরেস। আদালত তার বিরুদ্ধে অল্পদণ্ডের রায় দেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / ক.আ।
Leave a Reply