
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস সাধারনত বয়ে চলে তীব্র দাবদাহ। মাঠ-ধাট ফেটে চৌচির হয়ে থাকার কথা সেই সময়টায়। অথচ এবারের বৈশাখ ছিল বৃষ্টিমুখর, সূর্য ছিল মেঘের আড়ালে। আর শ্রাবণে এসে সূর্যের তেজে টেকা হলো দায়।
কয়েক দিনের কাঠফাটা রোদ প্রকৃতিতে অস্বস্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে সারা দেশে এখন বইছে দাবদাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে অস্বস্তি ঘুচবে না। শনিবারের পর থেকে বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এর মাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ময়মনসিংহে ৩৭ দশমিক ৮, সিলেটে ৩৮ দশমিক ৩, রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৮, রংপুরে ৩৭ দশমিক ২, খুলনায় ৩৬ দশমিক ৫, বরিশাল ৩৬ এবং চট্টগ্রামে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বর্ষাকালে টানা কয়েক দিন বৃষ্টি না হওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তিনি আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ওপরের দিকে (স্থলভাগে) বৃষ্টি হচ্ছে না। টানা কয়েক দিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তাপমাত্রা বেড়েছে।
বজলুর রশিদ আরও জানান, এখন দেশের প্রায় সব এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় শরীর থেকে ঘাম ঝরছে এবং মানুষের অস্বস্তি লাগছে। আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। রোববার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দিন দিন গাছপালা, বনাঞ্চল কমে যাচ্ছে। বনভূমি উজাড় করে ফেলা হচ্ছে। এতে যেই বিরুপ প্রভাব প্রকৃতিতে পড়েছে, তারই ফলশ্রুতিতে এমন অস্বাভাবিক গরম শ্রাবন মাসে।
এই অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় আমাদের নিজেদের কাছেই রয়েছে। আমরা যদি বেশি বেশি করে গাছ লাগাই তবে এই মাত্রাতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে অনেকটাই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply