
শনিবার দুপুরে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত হয় এক সংবাদ সম্মেলন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কামরুল হাসান। তিনি নিজেকে ‘বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা’ বলে দাবী করে আসছিলেন।
কামরুল বলেছেন, বিএনপি ভাঙা তার উদ্দেশ্য নয়, ‘পুনর্গঠন’ করা আমার উদ্দেশ্য। আমি চাই বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অবসর নেন। খালেদা জিয়ার জায়গায় তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন এবং কারাবরণ করবেন।
রাজনীতিতে তারেক রহমানের নেতৃত্ব দেওয়ার ‘যোগ্যতা নেই’ বলেও তিনি মনে করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, সংবিধান, রাজনীতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সব বিষয়েই ‘গবেষণা’ আছে তার। তার চাওয়া, তিনি বিএনপিকে ‘পুনর্গঠন’ করে জিয়াউর রহমান ও মশিউর রহমানের জাদু মিয়ার ‘চুক্তি ও আদর্শ’ বাস্তবায়ন করবেন।
এই কামরুল হাসান একসময় নিজেকে ‘আসল বিএনপি’র প্রধান বলে দাবি করে এসেছেন।
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে কামরুল হাসান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামকে ছাড়ুন। দল চলবে জিয়াউর রহমান ও মশিউর রহমান জাদু মিয়ার চুক্তির আলোকে ও আদর্শে অনুরণিত হয়ে।’ এ ছাড়া যদি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারেক রহমান দেশে না ফেরেন, তাহলে তার আসার কোনো প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দল নিয়ে তারেক রহমানের না ভাবলেও চলবে।
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কামরুল হাসান বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার প্রয়োজন নেই। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে শপথবাক্য এই দেশে কাউকে পড়তে দেওয়া হবে না। দেওয়া হবে না। দেওয়া হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ৩০০ সংসদীয় আসনের প্রায় ৩২০ জন জনের মতো নেতা নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত। তারা কার্যকারী সংসদে যেতে চান। তারা মনে করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ফেবারিট দল। গণতান্ত্রিক উপায়ে ধানের শীষ নিয়ে ওই ৩২০ জনের মধ্যে ৩০০ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে কামরুল হাসান বলেন, ‘ব্যক্তিবিশেষ বাদ দিলে প্রায় সবাই আপনার দেওয়া নানা অর্থনৈতিক উদ্যোগের উন্নয়ন ইস্যু নিয়ে মেতে থাকার অর্থ এই নয় যে তারা জনগণের জন্য আলাদা করে ভেবেছেন। তারা ওই সব প্রকল্প নিয়ে কাজ করে ভাগ বাঁটোয়ারার ব্যবসায়ী বনেছেন। আমাদের সঙ্গে নির্বাচনের লড়াই করতে হলে দলীয় মনোনয়নে সতর্ক থাকবেন। আমরা ভোটযুদ্ধে শক্ত প্রতিপক্ষ চাই।’
এ ছাড়া অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানান কামরুল হাসান। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, পত্রিকার সম্পাদক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ মোট ৩১ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। এসব ব্যক্তিদের কেন বিবেচনা করা হয়েছে, নামের পাশে বন্ধনী দিয়ে কারণও লিখে দিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন সমস্যা এবং রাজনৈতিক দোলাচালে জর্জরিত হয়ে বিএনপি এমনিতেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। এর মধ্যে কামরুল হাসানের এমন বক্তব্য কিছুটা হলেও বিরক্ত করবে দলটিকে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply