
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান দেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায়। তার নিজ জেলাসহ রাজশাহী বিভাগে দলের সাংগঠনিক অবস্থা খুবই নাজুক। বগুড়া জেলা বিএনপির কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে পাঁচ বছর আগে।
একই অবস্থা রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা জেলা বিএনপিরও। নাটোর জেলার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত বছর আগে। চার বছর আগে শেষ হয়েছে পাবনা জেলা কমিটির মেয়াদ। দুই বছর ধরে ঝুলে আছে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কমিটি।
এছাড়া যেসব জায়গায় কমিটি রয়েছে সেখানে রয়েছে চরম অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও রাজশাহী বিভাগের ৯টি সাংগঠনিক জেলার বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে ছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিপক্ষে।
একই সঙ্গে ঢাকায় আন্দোলন চায় তারা। কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলনে নামলে তারা কর্মী নিয়ে নামতে পারবেন বলে মনে করছেন এ অঞ্চলের নেতারা। রাজশাহী জেলা : রাজশাহীতে বিএনপির কর্মসূচীগুলোতে উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ে না।
১০০ থেকে ২০০ নেতাকর্মী নিয়ে কর্মসূচী পালন করে জেলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার নগরের অলোকার মোড়ে জেলা বিএনপির মানববন্ধনে উপস্থিতি ছিলেন একশর মত।
তবে প্রতিটি আন্দোলন রাজশাহী জেলা বিএনপি সফল বলে মনে করছেন জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি আন্দোলনে সফল রাজশাহী জেলা বিএনপি। তবে এখানে সফল আন্দোলন হলে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয় না।
ফলে ঢাকায় সফল আন্দোলন করতে পারলে সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ অন্যান্য দাবি মেনে নেবে।’ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ৩৪ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠনের পর ২০১৭ সালের এপ্রিলে ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় রাজশাহী জেলা বিএনপির।
কিন্তু এই দেড় বছরেও জেলার ৯ উপজেলা ও ১৪ পৌরসভার অধিকাংশ জায়গায় কমিটি গঠন করতে পারেননি জেলা নেতারা। রাজশাহী মহানগর : ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর ২১ সদস্যের আংশিক কমিটি হয় রাজশাহী মহানগর বিএনপির। কিন্তু এরপর দেড় বছর পার হয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি তারা।
অভিযোগ রয়েছে, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি তারা। ফলে দলীয় কর্মসূচীতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কম হচ্ছে। এমনকি দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচীতে একশর কম নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা গেছে।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। তিনি বলেন, ‘শহরে বিএনপিকে কোনও কর্মকান্ড করতে দিচ্ছে না প্রশাসন। কোনও কর্মসূচি পালন করলে পরের দিন নেতাকর্মীদের নামে পুলিশ মামলা দিচ্ছে। তারপরও কমিটি গঠনের কাজ চলছে। দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply