
ছোটবেলায় এই দুটো লাইন অনেকেই পড়েছি।
“এ জগতে হায়, সে-ই বেশি চায়; যার আছে ভুরি ভুরি।
রাজার হস্ত করে গরীবের ধন চুরি।“
এমন যে সত্যি সত্যি হচ্ছে, তার উদাহরন নেহায়েতই কম নয়। এমনই আরেকটি প্রমাণ মিললো আবার। ঝালকাঠির রাজাপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা দরে চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের কেওতা ও মোল্লার হাট এলাকার ডিলার (পরিবেশক) মো. ইদ্রিস হাওলাদারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোল হয়। শুধু তাই নয় উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ডিলারের গোডাউনে চাল বহনকারী গাড়িচালককে ভাড়া না দিয়ে ভাড়া বাবদ ৬ বস্তা চাল দিয়েছে ডিলার ইদ্রিস হাওলাদার। গত শনি ও রবিবার এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চলমান চাল বিতরন কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ডিলার ইদ্রিস হাওলাদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তিনি কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে তা বাইরে বেশি মূল্যে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ করেন একধিক ব্যক্তি।
উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর আবদুল কাদের সরদার বলেন, বাজারে চাল কিনতে গেলে এই সময় এক ব্যক্তি আমাকে ইদ্রিস হাওলাদারের গুদামে কম মূল্যে চাল পাওয়া যাবে বলে জানায়। তখন ওই চালের মান ভালো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি চালে মান বর্তমান বাজারের চালের চেয়ে অনেক ভালো। পরে আমি এক হাজার ৬০০ টাকায় দুই বস্তা চাল কিনেছি।
ট্রাকচালক মো. আলম ফকির জানায়, আমি গাড়িতে করে রাজাপুর খাদ্য গুদাম থেকে উপজেলার মোল্লার হাটে ডিলার ইদ্রিসের গুদামে চাল পৌঁছে দিয়েছি। তিনি আমাকে ভাড়ার টাকা না দিয়ে ৬ বস্তা চাল দিয়েছেন।
মোল্লার হাট বাজারের সেলুন ব্যবসায়ী ভবতোষ শীল জানায়, আমার বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামে। আমার কোনও কার্ড নেই। তবে আমি দুই বস্তা চাল ডিলারের কাছ থেকে এক হাজার ৬৫০ টাকায় কিনেছি।
শুক্তাগড় এলাকার মাওলানা আবদুল হক বলেন, আমি ডিলার ইদ্রিসের কাছে টাকা পেতাম। সেই সুবাদে ৬০০ টাকার বিনিময়ে আমাকে এক বস্তা চাল দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, ‘আমি কার্ড ছাড়া কাউকে চাল দেই না। ওরা কী বলছে তা আমি জানি না।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply